রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে -স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২

কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৬০ হাজারের বেশি হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিগত কয়েক বছরে ২০ হাজার ডাক্তার ও ২৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে রাতকানাসহ অন্যান্য রোগ হতে শিশুদের দূরে রাখা সম্ভব হয়েছে। খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি প্রণয়ন সম্পর্কিত খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার সকালে এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ঔষধ শিল্প এখন মানসম্পন্ন ঔষধ ও ভ্যাকসিন তৈরি করছে এবং বিদেশেও রপ্তানি করছে। দেশের মানুষের শরীরে এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ বিক্রি করা যাবে না। প্রসবকালে মাতৃমৃত্যু রোধ করতে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য আজ এই বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। বিগত কর্মসূচিগুলোয় সংক্রামক রোগ নিয়ে বেশি কাজ করা হয়েছে। আগামী সেক্টর কর্মসূচিতে ক্যান্সার, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পেতে মানুষের ব্যাক্তিগত ব্যয় কমাতে হবে। একই সাথে এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে উৎসাহিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৯৯৮ সালের আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। ১৯৯৮ সালে চলমান ১২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পকে একক সেক্টরভিত্তিক কর্মসূচিতে রূপান্তর করা হয়। চলমান ৪র্থ সেক্টর কর্মসূচি এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পঞ্চম সেক্টর কর্মসূচিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, অসংক্রামক রোগ, মানসিক স্বাস্থ্য, রোগের মহামারীকালে পূর্বপ্রস্তুতি, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলা, শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের ওপর জোর দিয়ে কাজ করা হবে। স্বাস্থসেবা বিভাগের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাশেদা আকতার, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল­ুর রহমান চৌধুরী ও খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্মসচিব শায়লা শার্মিন জামান। স্বাস্থসেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবীর খন্দকার অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন। কর্মশালায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনে কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। -তথ্য বিবরণী

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com