রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আশাশুনি কাদাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময় কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার ঃ আশাশুনির কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবৈধ ভাবে কয়েক লক্ষ টাকা গ্রহন করে কর্মচারি নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লিখিত বক্তব্যে কাদাকাটি গ্রামের একেএম ফজলুল হক বলেন কাদাকাটি গ্রামে বেশ কিছু গুনী ব্যক্তি সহায়তায় ১৯৬১ সালে ঐতিহ্যবাহী আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টির জমিদাতা ছিলেন তার পিতা আলহাজ্ব দাউদ হোসেন সরদার, ঐ বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহন করে বহু শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত আছেন। কিন্তু ২০১৩ সালে বদিউজ্জামান প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করার পরে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছায়েছে। এখানে শিক্ষাদানের পরিবর্তে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য সহ বিভিন্ন কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ক্ষুন্নের পাশাপাশি দীর্ঘ দিনের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি জেলা পরিষদের টাকা তছরুপ করেছে। শুধু এখানেই শেষ নয় এই এলাকার বহু শিক্ষিত বেকার থাকা সত্তে¡ও অন্য এলাকার ছেলেদের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বিশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। একথা প্রধান শিক্ষক নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ঝাড়–দার মোঃ জোহর আলীকে দুই মাস আগে অবসর দিয়ে তার ছেলেকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গাছ কেটে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি স্কুলের সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখে পুরাতন রড বিক্রয় ও পুরাতন রড দিয়ে স্কুলে ঢালাই দিয়েছেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় টি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামানের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দৃষ্টিপাত কে জানান, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি টাকা আত্মসাত ও জেলা পরিষদের টাকা তছরুপের ঘটনা সঠিক নয়। এখানে অর্থের বিনিময় কোন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কোন কাজ করতে হলে সভাপতির অবগত করতে হয়। যে অভিযোগ উঠেছে এগুলি সঠিক নয়। যারা সভাপতি হতে পারেনি তারা এ সকল অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com