শেখ শরিফুল ইসলাম: জাফলং প্রকৃতির কন্যা হিসাবে পরিচিত। সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে জাফলং সবার পছন্দ। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা প্রকৃতির দানে রুপের পসরা সাজিয়ে আছে জাফলং। পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানির ধারা, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, উঁচু উঁচু পাহাড়ে সাদা মেঘের খেলা জাফলংকে করেছে অনন্য। একেক ঋতুতে জাফলং একেক রকম রুপের দেখায়। কার্তিক মাসের প্রায় শেষ পর্যায়ের হেমন্তে সিলেটের প্রকৃতির কন্যা যেন সত্যিই এক অপরুপ সাজে সেজেছে। গত ১১ই নভেম্বর জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট থেকে যখন বাস যোগে জাফলং পেীঁছালাম তখন দেশি বিদেশি পর্যটকগন দল বেধে ঝর্না ও পাথর বেষ্টিত নদী খাল। সীমান্তের গা ঘেঁসে দাড়িয়ে থাকা পাহাড়ের পাদদেশে মাথা উচু করে নির্মিত বিল্ডিং,ভারতের ডাউকি শহর। শেষ বিকালে দেখা পেলাম পতাকা বৈঠাকে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষিদের মিলন মেলা। ঘুরতে ঘুরতে আমারা একে অপরে মিলে প্রায় হাজারের বেশি পর্যটকগন ভারত সীমান্তের ভিতরে ঢুকে পড়ে কেনাকাটা সেরে ফেললাম। জাফলং থেকে একটু দুরে গেলেই দেখা মিলে। তাবাবিল স্থল বর্ডার। ভারত থেকে এলসি করে ১০চাকা ও ১৪চাকার ট্রাক ও লড়িতে বাংলাদেশে ঘুকছে হাজার হাজার টন পাথর আর কয়লা। জাফলং ও তাবাবিল থেকে আমাদের বাতে থাকার স্থান সিলেট জালালাবাদ সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্টে ফেরার পথে প্রথম দিকে দেখা শত শত পাথর কেটে প্রসেসিং করা শাড়ি যন্ত্রের সমাহার। তার একটু পড়েই দেখা ছোট ছোট পাহাড়ের পাদ দেশে চা বাগানের সমাহার। তার ভিতরে চা পাতা তোলার কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছে পাগাড়ি তরুনীরা। একের পর এক স্তরে স্তরে পাহাড়ের গা বেযে চা বাগানে নিয়োজিত আছে হাজার হাজার শ্রমিক। তাদের সাথে কথা বলায় সিলেটের মন জুড়ানো সকল ইতিহাস তুলে ধরেন। এভাবেই আমাদের প্রথম দিন কেটে গেল। এই ধারাবাহিকতায় বছরের প্রায় সকল সময় পর্যটকদের সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে সিলেটের প্রকৃতির সুন্দরী কন্যা নামে খ্যাত জাফলং।