আহম্মাদ উলাহ বাচ্ছু \ সুন্দরবনের সৌন্দর্য হৃদয়কে স্পর্শ করে না এমন মানুষ নেহাত কমই আছে। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য ও মায়াজাল দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ছুটে যান অনেকে। তবে সে জন্য সময়, শ্রম, অর্থ সব কিছুর প্রয়োজন হয় ভ্রমণে। সহজেই সুন্দরবনের সেই ছোঁয়া পাবেন বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের কালিন্দী নদীর পাড়ে আসলে। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আগতরা সৌন্দর্য উপভোগ করেন। সুন্দরবনের এই অপরূপ সৌন্দর্য। হ্যা, বাস্তবেই তাই। সেটি হলো বাঁশঝাড়িয়া মিনি সুন্দরবন! সুন্দরবনের মূল ভূখন্ড থেকে ৪০/৫০ কিঃ মিঃ উত্তরে কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশঝাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন কালিন্দী নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা চরে ৬’শ একরের অধিক চরভরাটে জমির উপরে মিনি সুন্দরবন নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানকার বিস্তীর্ণ চর জুড়ে গড়ে উঠেছে সবুজ অরণ্য। সুন্দরবনের অসংখ্যা প্রজাতির উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও বিভিন্ন প্রকার গাছের দেখা মিলবে এখানে। নদীর মাঝখানে সবুজ সুন্দরী বৃক্ষের সারি আর বনের চারিপাশে জলরাশি যা সকলের মনকে আপ্লুত করবেই। প্রতিদিন প্রকৃতি প্রেমী অসংখ্য মানুষ অবসর সময় কাটাতে ও ছবি তুলতে আসে এখানে। এই বনে মৌমাছিরা মধু আহরণ করে তৈরি করছে মৌচাক। পাখিদের বসবাসের জন্য অভয়ারণ্য বলা হয় এই বনকে। সুন্দরী, কেওড়া বাইন গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি পাখি ও বন্য প্রানীদের কারণে ইতিমধ্যে মিনি সুন্দরবন নামে যার পরিচিতি পেয়েছে জেলা জুড়ে। এখানে এলে গাছের শীতল ছায়া আর নির্মল বাতাস সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয় ভ্রমণ পিপাসুদের। এই মিনি সুন্দরবনকে ঘিরে এ অঞ্চালে আসার আলো দেখা দিয়েছে। বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম ম্যানগ্রোভ বন হিসাবে এটি বিস্তৃতি লাভ করায় অনেকটা সম্ভবনার দ্বার খুলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। চারপাশে পানি বেষ্ঠিত এ বনভূমিটি সৌর্ন্দয্য পিপাসু ব্যাক্তির জন্য একটি আকর্ষনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। সরকার বাহাদুর যথাযথ ব্যবস্থা নিলে বাঁশঝাড়িয়া মিনি সুন্দরবন হতে পারে দেশের অন্যতম একটি সম্ভাবনার পর্যটন স্পট ও পিকনিক কর্নার।