স্টাফ রিপোর্টার ঃ স্নাতকে সফলতার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছেন আশাশুনি সরাপপুর গ্রামের মো. নাজমুছ সাকিব ও শহরের দক্ষিণ কাটিয়া গ্রামের মো. মাসুদ রানা। নাজমুছ সাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্নেল মালেক স্বর্ণপদক ২০১৮ এবং মাসুদ রানা অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম স্বর্ণপদক ২০১৯ এ ভূষিত হয়েছেন। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আব্দুল হামিদের কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন। সম্প্রতি নাজমুছ সাকিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এ শিক্ষকতা করেছেন। অন্যদিকে মাসুদ রানা রাজধানীর স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অ্যাডজান্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নানান অর্জনে শিক্ষাজীবন বর্ণিল করেছেন সাকিব ও মাসুদ। নাজমুছ সাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতক ও ২০২১ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। স্নাতকোত্তরে তিনি সর্বোচ্চ ফলাফল সিজিপিএ ৪.০০ অর্জন করেন এবং উভয় পরীক্ষাতেই প্রথম শ্রেণিতে উত্তীন্ন হন। মো. মাসুদ রানাও একই বিভাগ থেকে ২০২০ সালে স্নাতক ও ২০২২ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। স্নাতকোত্তরে পরীক্ষাতেই প্রথম হন। শিক্ষাজীবনের অসাধারণ কৃতিত্বস্বরুপ অস্ট্রেলিয়া সরকার তাকে ‘অ্যানডিয়াভর লিডারশিপ প্রোগ্রাম অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন এবং সপ্তাহব্যাপী স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে আমন্ত্রন জানান। ছাত্রজীবনে দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি উভয়ই ব্যবসায় সংক্রান্ত গবেষণায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে তাদের বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নাজমুছ সাকিব তার নিজ ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের সামাজিক সংগঠন ‘মাতৃভূমি শোভনালী’ প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক। অন্যদিকে মাসুদ রানা তার নিজ জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব সাতক্ষীরা (ডুসাস) সাংগঠনিক সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন করেছেন।