অসর্য্য, অসহনীয়, যন্ত্রনাদায়ক মাধ্যম হাইড্রোলিক্স হর্ণ। মানবদেহের জন্য, জন সমাজের জন্য বিশেষ ক্ষতিকর হাইড্রোলিক্স হর্ণের অবাধ্য ব্যবহার বেড়েই চলেছে। আধুনিক নগর আর মানবিক সভ্যতার এই মহাযুগ সন্ধিক্ষনে হাইড্রোলিক্স হর্ণ ব্যবহার কেবল বেমানান নয়, সভ্যতার বিপরীতমুখি বলা যায়। জানা যায় আফ্রিকার জঙ্গলের হিংস্র ও অবাধ্য প্রাণি ও পশুদের লক্ষ এবং স্থানচ্যুত করনের লক্ষে হাইড্রোলিক্স হর্ণের ব্যবহার প্রচলন ঘটে। আধুনিক যুগজামানার এই মহাক্ষনে সেই প্রাণি ও পশু বিতাড়িত করার মাধ্যমে হাইড্রোলিক্স হর্ণ মানুষ সমাজকে বিতাড়িত করার ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের দেশের সড়ক ও মহাসড়ক গুলোতে চলাচল করা যানবাহনগুলো অবাধে নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করে চলেছে এই মানব যন্ত্রনার মাধ্যম হাইড্রোলিক্স হর্ণ। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় থেমে নেই হাইড্রোলিক্স হর্ণ ব্যবহার। কেবল মাত্র যাত্রীবাহি পণ্যবাহী বাহন নয় দুই চাকার মোটর সাইকেলেও ব্যবহৃত হচ্ছে হাইড্রোলিক্স হর্ণ। সাতক্ষীরা শহরের ব্যস্ততম আর কোলাহলময় জীবন যাত্রায় চরম ভাবে বাঁধ সেধেছে হাইড্রোলিক্স হর্ণ। আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা নিশ্চয়ই হাইড্রোলিক্স হর্ণের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবেন। দেশের প্রচলিত আইনে যানবাহনে হাইড্রোক্সি হর্ণ ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হলেও থেমে নেই হাইড্রোলিক্স হর্ণের ব্যাপক ভিত্তিক উপস্থিতি। সাতক্ষীরা শহরের পাশাপাশি জেলার অপরাপর সড়ক গুলোতেও চলাচল করা যানবাহনগুলো হাইড্রোলিক্স হর্ণ অবাধে ব্যবহার করে চলেছে। বিশেষ করে শহরের মোড়ে মোড়ে, মফস্বলের বাজার ও বাস স্টপিগুলোতে যানবাহন অতি দ্রুততার সাথে হাইড্রোলিক্স হর্ণ বাজিয়ে পরিবেশের পাশাপাশি জনজীবনকে ব্যাপক ভাবে নিন্মমুখি এবং অস্থির করে তুলছে। সাতক্ষীরায় হাইড্রোলিক্স হর্ণের পাশাপাশি শব্দ দুষনের প্রতিযোগিতা চলছে তো চলছেই। প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকাতে মাইকিং করে আবাসিক জীবন যাত্রায় ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। জন সাধারনের পথচারী, যাত্রী সাধারনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত কল্পে হাইড্রোলিক্স হর্ণ ও শব্দ দুষণ বন্ধ সময়ের দাবী।