আলমগীর হোসেন, বিষ্ণুপুর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আশিক ইকবাল পাপ্পি। গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মুকুন্দপুর গ্রামে এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন। ইতিমধ্যেই গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে। এক একটি ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। চারিদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছে সে এক অপরূপ দৃশ্য। প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত দেখতে ভীড় করছে অনেকে। ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। কেউ কেউ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্য বীজ নিয়ে মুকুন্দপুর গ্রামে এক বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন তিনি। উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার মফিজুর রহমান বলেন, অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও ভাল দাম পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এখন সূর্যমুখী চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে এক কেজি বীজ দিতে হয়। এবং দেড় ফুট অন্তর অন্তর একটি করে বীজ বপন করতে হয়। একটি সারি থেকে আরেকটি সারি দূরত্ব রাখতে হয় দেড় ফুট। মাত্র ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বীজ বপন থেকে শুরু করে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি একর জমিতে সব খরচ বাদ দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। যা অন্য কোন ফসলের চেয়ে পরিশ্রমে বেশি আয়। কৃষক বাপ্পি বলেন উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীর চাষ করছি। প্রকৃতিক দুর্যোগ ভালো থাকলে আশা করি ভালো আয় হবে। প্রতি বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। তিনি আশা করেন প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ মণ ফলন পাওয়া যাবে।