স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউশন (পিটিআই) এর আলো ঝলমলে দুই নক্ষত্র আকবর হোসেন আর মফিজুর রহমান। তাদের মনন, মেধা, শ্রম, অধ্যবসায়, সৃষ্টিশীলতা, আন্তরিকতা পিটি আইকে নিয়েছে অনেক অনেক উচ্চতায়। অত্যন্ত সহজ সরল অথচ দায়িত্বশীলতার প্রতিমুখ আপন আর হৃদয়ঙ্গম করেছিলেন যে সাতক্ষীরার মাটি মানুষেরই হয়ে থাকলেন সর্বশ্রদ্ধেয় আকবর স্যার, পিটিআইকে দৃষ্টিনন্দন, প্রতিবন্ধকতামুক্ত করনের ক্ষেত্রে তিনি সহযোগিদের নিয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সর্বপরি আলোর বিচ্ছুরন ঘটিয়েছিলেন। ফুলবাগানে হোস্টেল ব্যবস্থাপনা, পরীক্ষা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, সহ সব ধরনের সামাজিক কর্মযজ্ঞে আকবর স্যারের ছোয়া, নীতি আর আদর্শের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আপোষহীন। তিনি হাসলে পুরো পিটিআই যেন হাসতো, তিনি দুঃখ পেলে, অনাকাঙ্খিত প্রতিহিংসার রোষানলে পড়লে শিক্ষার্থী সহ সহকর্মিরা হতাশ হতেন। সকলের প্রিয় আকবর স্যার যোগ্যতা আর দক্ষতার স্বীকৃতিতে পদোন্নতি পেলে বাগেরহাট পিটিআইতে সুপার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। প্রিয় শিক্ষার্থী এবং সহকর্মিরা তাদের পথিকৃত, স্বজনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় জানাবেন না তাই কি হয়? আর তাই গতকাল বেদনাভরা মননে তবে স্বীকৃতির শতভাগকে সঙ্গী করে তিনি বিদায় নিলেন। বক্তব্যে বাকরুদ্ধ হচ্ছিলেন কাদলেন প্রিয় শিক্ষার্থীরা, সহকর্মিদের চোখ ভিজে উঠলো। প্রিয় প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা পিটিআই হতে। অশ্র“সিক্ত নয়নে তিনি অবলিলায় বললেন ভালকিছু যদি করতে পারি সেটাই পাথেয়। অত্যন্ত মানবিক, কোমল, মনের মিষ্টিভাষি আকবর স্যাররা চলে গেলেও তারা থাকবেন। তাদের কর্মে সৃষ্টিতে, সাতক্ষীরার পিটিআইয়ের আরেক আলোকিত নক্ষত্র মোঃ মফিজুর রহমান, যিনি আপদমস্তক শিক্ষক, ধৈর্য্য আর বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নগুচ্ছের সমাধান না করে ক্লাস থেকে না ফেরা স্যার মফিজুর রহমান। সাতক্ষীরার এই কৃতি সন্তান ইংরেজি আর গনিতের জ্ঞান ভান্ডার খ্যাত। শিক্ষার্থীদের যে কোন বিষয় জানার কেন্দ্রবিন্দু আর আস্থার ক্ষেত্র ছিল মফিজুর রহমান। প্রিয় প্রতিষ্ঠানে কর্মকালিন সময়ে তিনি পদোন্নতি পেয়ে নড়াইল পিটিআই সুপার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। আবেগপ্রবন হয়ে অতীতের স্মৃতি চারন করে তিনি বললেন সাতক্ষীরা পিটিআই আমার জীবনের অংশ, বেঁচে থাকুক, এগিয়ে চলুক এই আলোকিত প্রতিষ্ঠান। গতকাল শিক্ষার্থী এবং কর্তৃপক্ষের আয়োজনে পিটিআইতে বিদায়ী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপার চলতি দায়িত্ব রাউফার রহিম, বক্তব্য রাখেন ইন্সট্রাক্টর সুভেন্দু কুমার দাস, সহ শিক্ষার্থীরা।