এফএনএস: বিএনপি নয়াপল্টনে লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি কার্যকর করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা, সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দুই সিটি মেয়রের যৌথসভার শুরুতে দেওয়া স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে বিএনপি। দেশের মানুষ আতঙ্কে আছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা মাঠে নামিয়েছে জঙ্গিদের। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা (গত বুধবার) কার্যকর করেছে। তারা হামলা করেছে পুলিশের উপর। এসময় মিডিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুলিশ রাস্তায় পড়ে ছিল, সেই ছবি মিডিয়া দেখায়নি। তারা বিআরটিসি বাস পুড়িয়েছে। সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে, সেই ছবি দেখাবে না। এই দুর্ব্যবহার কেন করা হচ্ছে? মিডিয়ার একটি অংশ কেন একটি পক্ষ নিচ্ছে? এটা আমার অভিযোগ। কক্সবাজারে এত বড় সমাবেশ, মিডিয়া ঠিকভাবে দেখায়নি। মিডিয়ার কাছে আমরা প্রত্যাশা করি, তারা যা দেখবে তাই দেখাবে। আমরা সত্যকে তুলে ধরার আহŸান জানাই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, লন্ডন থেকে ফরমায়েশ আসে। মির্জা ফখরুল চাকরি রক্ষার জন্য তা করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থায় থাকবে। ষড়যন্ত্রের চোরাগলি দিয়ে বিএনপি সরকার হটানোর চেষ্টা করছে। সা¤প্রদায়িক শক্তির হাতে আমরা দেশকে তুলে দিতে পারি না। এটা আমাদের শপথ। আক্রমণ আমরা করবো না। তবে আক্রান্ত হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। আমরা সরকারি দল, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। আমাদের যেন কোনো বদনাম না হয় আক্রমণকারী হিসেবে। এসময় রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ আমরা করতে দেবো না। শুক্রবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাবেশও মহানগর নাট্যমঞ্চে হবে। জনগণের ভোগান্তি হতে দেওয়া যাবে না। এসময় ক‚টনীতিকদেরও সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের বিদেশি বন্ধুরা একতরফা কথা বলবে, এটা ক‚টনৈতিক শিষ্টাচার নয়। বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, খেলা দেখতে কারেন্ট সমস্যা, এমন অভিযোগ নেই। বিশ্ব সংকটময় পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা শক্তভাবে সামাল দিচ্ছেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেনসহ সম্পাদকমণ্ডলী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা, সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্কে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি পুলিশের ওপর হামলা করছে। আগুন দিয়ে জনগণের সম্পদ পোড়ানো হচ্ছে। বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না। যে হাতে আগুন দিবে, সেই হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, মীর জাফর থেকে খন্দকার মোশতাক, বাংলার ইতিহাস ষড়যন্ত্রের ইতিহাস। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এখনি প্রস্তুত হতে হবে। এর আগে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক তার বক্তব্যে বলেন দলে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসা যাবে না। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবেন না। বিএনপির আন্দোলন পুলিশ মোকাবিলা করবে। সম্মেলনে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেব আতিউর রহমান আতিক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সানোয়ার হোসেন ছানুর নাম ঘোষণা করা হয়।