সাতক্ষীরা দেশের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় জেলা হিসেবে নিজেকে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশের ভৌগলিকতা পেরিয়ে এই জেলা আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে স্পর্শ করেছে। বিশ্ব মিডিয়াতে বারবার আলোচিত হয়েছে এবং হচ্ছে সাতক্ষীরা। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের নাম আলোচনার পাশাপাশি সাতক্ষীরার নাম এসেছে। এই জেলার সোনার ছেলে মুস্তাফিজ আর সৌম্য সরকারের কৃতিত্ব এবং বীরত্ব সাতক্ষীরাকে বিশেষ ভাবে আলোচিত করেছে। সা¤প্রতিক সাফ ফুটবলে স্বর্ণজয় করেছে বাংলাদেশ। হীমালয় জয় কারী আমাদের দেশ সঙ্গত কারনে বিশ্বের দেশে দেশে আলোকিত এবং আলোচিত হয়েছে। দেশের জাতীয় মহিলা ফুটবল দল অর্থাৎ যে দলটি সার্ফ জয়ী সেই দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন সাতক্ষীরার সন্তান। সাবিনার নেতৃত্বেই আমরা (বাংলাদেশ) সার্ফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এই দলে আমাদের সাতক্ষীরার আরও এক সোনার মেয়ে মাছুরা। সাতক্ষীরার দুই গর্ব, দুই অহংকার বাংলাদেশ জাতীয় দলে। বিশ্ব মিডিয়ায় বারবার এবং প্রতিনিয়ত আলোচিত হচ্ছে সাবিনা আর মাছুরার নাম আর এই দুই নামের সাথে অতি গৌরব আর সম্মানের সাথে আলোচিত হচ্ছে সাতক্ষীরার নাম। সাতক্ষীরার বিশলক্ষাধীক মানুষ তাদের সোনার দুই মেয়ের জন্য গর্বিত। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হতে সোনার মেয়ের সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। সাবিনাকে আর মাছুরাকে সাতক্ষীরার জনসাধারন হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে ভালবাসায় সিক্ত করেছে। মাছুরা সাতক্ষীরায় এসে শ্যামনগরে সম্বর্ধিত হয়েছে। সাতক্ষীরার এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। সাতক্ষীরা কেবল ক্রীড়ায় এগিয়ে আছে তা নয়, এ্যাথলেটিক্সএ গৌরবজনক ভূমিকা রেখে চলেছে। সাংস্কৃতিক এবং নাট্য অঙ্গনেও সাতক্ষীরা এগিয়ে চলেছে সাবিনা ইয়াসমিন, আফজাল হোসেন, ফাল্গুনী আহমেদরা সাতক্ষীরার সন্তান। সাতক্ষীরা অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র বিনির্মান করে চলেছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে খ্যাত সাদা সোনা চিংড়ী সাতক্ষীরায় ব্যাপক ভিত্তিক উৎপাদন হয়। অভ্যন্তরীন রাজস্ব উপার্জনের ক্ষেত্রে ভোমরা বন্দর, সুন্দরবন আলোক উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে চলেছে। সর্বক্ষেত্রে সাতক্ষীরা এগিয়ে চলেছে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা দেশবাসীর।