স্পোর্টস ডেস্ক \ আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠল মরক্কো। শেষ ষোলোয় হ্যাটট্রিকের সুবাস ছড়ানো গনসালো রামোস এবার যতক্ষণ খেললেন, নিজের ছায়া হয়েই রইলেন। বদলি নেমে দলকে বাঁচাতে পারলেন না ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোও। প্রথমার্ধে ইউসেফ এন-নেসিরির করা গোলটিই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিল ব্যবধান। স্বপ্নময় পথচলায় আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠল মরক্কো। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে শনিবার তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়েছে মরক্কো। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে আগেই ইতিহাস গড়েছিল মরক্কো। এবার তারা গড়ে ফেলল আরও বড় কীর্তি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে বেঞ্চে রেখে খেলতে নামা পর্তুগাল পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। ব্রুনো ফের্নান্দেসের ফ্রি-কিকে জোয়াও ফেলিক্সের জোরাল হেড ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। দুই মিনিট পর সুযোগ আসে প্রথমবার শেষ আটে ওঠা মরক্কোর সামনে। হাকিম জিয়াশের কর্নারে ইউসেফ এন-নেসিরির হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। যদিও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। ২৬তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পান এন-নেসিরি। এবার জিয়াশের ফ্রি-কিকে তার হেড লক্ষ্যে থাকেনি। চার মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে ফেলিক্সের জোরাল শটে বল মরক্কোর জাওয়াদ ইয়ামিকের গায়ে লেগে ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে যায়। ৪২তম মিনিটে এগিয়ে যায় মরক্কো। পর্তুগালের গোল হজমে যথেষ্ট দায় আছে গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তার। বাঁ দিক থেকে ইয়াহিয়া আত্তিয়াত আলাহর ক্রস পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে এসে পাঞ্চ করার চেষ্টায় হাতই ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। পর্তুগালের এক খেলোয়াড়ের ওপর লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন এন-নেসিরি। মরক্কোর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে তিন গোল করলেন সেভিয়ার ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। একটু পর সমতায় ফিরতে পারত ফের্নান্দো সান্তোসের দল। ডান দিক থেকে ফের্নান্দেসের ভলি ক্রসবার কাঁপিয়ে ফেরে। প্রথমার্ধে ৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য পর্তুগাল শট নেয় পাঁচটি, যার একটি ছিল লক্ষ্যে। আর মরক্কোর সাত শটের দুটি লক্ষ্যে, একটি সফল।