বিশেষ প্রতিনিধি \ আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউযনিয়নে স্লুইস গেটের পাট খুলে দিয়ে পানি উঠানোর ফলে ধানের বীজ তলা তলিয়ে যাওয়া ও মৎস্য ঘেরের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে, ইউনিয়নের মোকামখালী স্লুইস গেটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গেট। এই গেট দিয়ে মোকামখালী, তালবাড়িয়া, ঝিকরা, যদুয়ারডাঙ্গা, টেংরাখালী, পূর্ব কাদাকাটি, ধাপুয়া গ্রাম ও বিলের পানি নিস্কাশন হয়ে থাকে। এলাকার প্রায় ৩০০০ বিঘা জমি এই গেটের আওতায় রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১০০০ বিঘা জমিতে ধান চাষ হয়ে থাকে। এই গেট দিয়ে মাছ চাষের সময় মৎস্য ঘের মালিকরা নদীর পানি গ্রহন করে থাকে। বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে মৎস্য ঘেরের জন্য পানি উঠানোর প্রয়োজন না থাকলেও গেট দিয়ে পানি উঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপঙ্কর কুমার সরকার দিপ জানান, গেটটি এতদিন পরিচালনা করত সবুর গাজী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তার পরিবর্তে আকবর আালীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে হুমকী দিয়ে কাজ করতে না দেওয়ায় এবং গেট দিয়ে পানি ভিতরে উঠতে থাকায় এলাকার বহু ধানের বীজতলা ও পাতা তলিয়ে গেছে। গেটের মুখে বিশ্বনাথ দাশের ঘরবাড়ি ও যাতয়াতের পথ হুমকীর মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু ভেঙ্গেও গেছে। অবিলম্বে পানি উঠা বন্ধ না হলে ধান চাষে ক্ষতি হবে। সরকারি বীজ পেয়েও কৃষকরা পাতা ফেলতে পারছেনা। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। ইউপি সদস্য উজ্জল, গোপাল সানা ও উত্তম কুমার জানান, গেটের পানিতে এলাকার বীজ তলা তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খালের দুপারের ঘরবাড়ি নষ্ট হচ্ছে। মাছ চাষের জন্য যে সব ঘের প্রসেস করা হচ্ছে পানির কারনে তা করতে পারছেনা। ইতিমধ্যে তালবাড়িয়ার সমরেশ, মধু, বিষ্ণ’র পাতা পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।