বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

খুলনায় দুই যমজ শিশুকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেন মা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

এফএনএস: খুলনার তেরখাদা উপজেলার দুই যমজ বোন হত্যার ঘটনায় তাদের মায়ের দিকেই আঙুল তুলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কানিজ ফাতেমা কণাকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলার পর গতকাল শনিবার সকালে তেরখাদা থানার এসআই এনামুল হক বলেন, পারিবারিক অশান্তির জেরে আড়াই মাস বয়সী যমজ দুই বোনকে মা শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের খায়ের শেখের বাড়ির পুকুর থেকে গত শুক্রবার সকালে মনি ও মুক্তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে শিশুদের বাবা মাসুম বিল­াহ হত্যা মামলা করেন। মনি ও মুক্তার লাশ উদ্ধারের পর তাদের মা কণা, কণার বাবা শেখ খায়রুজ্জামান ও মা শরিফা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। গতকাল শনিবার সকালে বাবা-মাকে ছেড়ে দিলেও কানিজ ফাতেমা কণাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে জানান তেরখাদা থানার ওসি জহুরুল আলম। তিনি দাবি করেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কণা জানান, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মনি ও মুক্তা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি শুরু করে। এ সময় তাদেরকে দুধ খাইয়ে ঘুম পড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। তারপরও কান্না না থামায় রাত আড়াইটার দিকে তাদের মুখে থাপ্পড় মারেন। এরপর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর কী করবেন ভেবে পারছিলেন না কণা। তাই নাটক সাজানোর জন্য পরে তিনি যমজ মেয়ের লাশ বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন, যোগ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এনামুল বলেন, চার বছর আগে তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের খায়ের শেখের মেয়ের সঙ্গে বাগেরহাটের মোল­ারহাট উপজেলার মাতারচর গ্রামের মোল­া আবু বক্কারের ছেলে মাসুম বিল­াহর বিয়ে হয়। তিনি চাঁদপুরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। বিয়ের তিন বছরের মাথায় কণা অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়লে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সন্তান জন্মের পর থেকে গত দুই মাস ১১ দিন বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন তিনি। এসআই বলেন, যমজ শিশু জন্মের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্ব›দ্ব শুরু হয়। মাসুম বিল­াহ সন্তানদের দেখতে আসতেন না। নিজের বাড়িও নিয়ে যেতেন না। তাদের লালন-পালন করাও কণার একার জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com