আজ মহান বিজয় দিবস, এই দিনে বিশ্বের বুকে নতুন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অভ্যুদয় ঘটে। লাল সবুজের বাংলাদেশ, দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিপাগল বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে প্রাণপন যুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের এই দিনে ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পন করে। আজ বিজয়ের ৫২ বছরে দেশ অনেক অনেক উচ্চতায় পৌছাইছে। বিশ্বের দেশে দেশে আমাদের দেশ উন্নয়নশীল হতে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। জাতি গভীর শ্রদ্ধা আর উৎসবের বারতায় পালন করবে বিজয় দিবস। পাকিস্তানী বাহিনীর নির্মমতায় ত্রিশ লক্ষ বাঙ্গালী শহিদ হয় এবং লাখ লাখ মা বোনের ইজ্জত হানীর ঘটনা ঘটে। সেদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে লড়াই চালিয়ে গায়ের শক্তি খর্ব করে। পাকিস্তানীদেরকে অর্থাৎ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে বিশেষ ভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে হত্যা করতে সাহায্য করেছিল এদেশীয় রাজাকার আল বদর সহ অপরাপর সহযোগীরা। বিশ্বের দেশে দেশে সেদিন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্মমতা আর হত্যাযজ্ঞ ব্যাপক ভাবে আলোচিত হয়েছিল। আমাদের প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছি, সাহায্য করেছিল। পাকিস্তানীরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জনগনের বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত করে আসছিল আর এ কারনে তারা তাদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। বাঙ্গালী জাতি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। জীবনবাজি রেখে তারা যুদ্ধ করে। বিজয় দিবসের দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সদস্যরা যখন আত্মসমর্পন করছিলেন তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী। মহান বিজয় দিবসে জাতি আজ একাত্বতায়, আনন্দ উৎসব আর উচ্ছ¡াসে একাকার। রাষ্ট্রীয় ভাবে দিনটি বিশেষ মর্যাদা এবং উৎসবের সাথে পালন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ডাঃ হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। বিজয় দিবসের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুুর রহমানকে।