বিশেষ প্রতিনিধি \ আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে দীর্ঘ ২৫ বছর পর রাস্তা উন্মুক্ত করায় প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কচুয়া গ্রামের সন্তোষ ও সুকুমার ঋষির বাড়ি হতে কচুয়া-জামালনগর ইটের সোলিং রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা উন্মুক্ত করে মাটির কাজের মাধ্যমে পাড়া ও এলাকাবাসীর চলাচলেরর পথ করে দেওয়ার দাবী ছিল প্রায় ২৫ বছর আগে থেকে। এনিয়ে গ্রাম্য ভাবে, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে অসংখ্যবার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ কাদের সানা নির্বাচিত হওয়ার পর পাড়ার লোকদের নিয়ে স্থানীয় ভাবে পথ উদ্ধারে চেষ্টা করেন। সম্ভব না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালস সাতক্ষীরায় পি-১০১৬/২১ (আশাঃ) নং মামলা করেন সন্তোষ কুমার ও গোপাল দাশ। বিজ্ঞ আদালত এসি ল্যান্ডের প্রতিবেদন ও উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ২৫/১০/২২ তাং “উভয় পক্ষ পথ উন্মুক্ত রাখতে প্রস্তুত আদালতে সম্মতি প্রকাশ করেন। ওসি আশাশুনি থানা পরবর্তীতে উক্ত পথ উন্মুক্ত রাখা নিশ্চিত করবেন।” মর্মে রায় প্রদান করেন। ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ছাকি পলাশ ও মেম্বার আঃ কাদের সানা থানা পুলিশের সহযোগিতা ও গ্রাম পুলিশ নিয়ে পাড়ার লোকজনের উপস্থিতিতে সন্তোষ ও সুকুমার ঋষির বাড়ি হতে কার্তিক ঋষির বাড়ির উপর দিয়ে পরিতোষ, প্রভাষ, দুলাল ও বলভের বাড়ির পাশ দিয়ে যতিনের ঘরের পাশ দিয়ে কচুয়া-জামালনগর ইটের সোলিং রাস্তা পর্যন্ত পথ উন্মুক্ত করেন। সাথে সাথে পথে মাটির কাজ করে চলাচল উপযোগি করেছেন। পাড়াবাসী জানায়, খোকন দাশ, দুলাল দাশ, যতিন দাশ ও প্রভাষ দাশ ৩৭ শতক জমি ক্রয় করে পাড়ায় বহু পূর্ব থেখে ঘরবাড়ি বেধে বসবাস করে আসছে। তাদের জমির মাথায় কিছু জমি পরিতোষ, গোপাল, বলভ ও দুলাল অবৈধ দখল করছে। ইউপি সদস্য আঃ কাদের সানাসহ এলাকার বহু মানুষের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি মাপজোক করে অবৈধ দখলকৃত জমি সীমানা চিহ্নিত করেন। প্রভাষ মাপের সময় তার প্রাপ্য জমি বের করে নিয়েছে। অন্যরা দখলকারীরের ভয়ে এখনো জমি নিতে যায়নি। অবৈধ দখলখারীরা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বিজ্ঞ আদালতে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা রুজু করেছে দাবী করে তারা বিজ্ঞ আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন। ইউপি সদস্য আঃ কাদের জানান, সকলের সম্মতিতে ও আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে। পথ উন্মুক্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীরা নিছক ঘটনা নিয়ে ঘড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এবং নানা অভিযোগ এনে হয়রানী করার মত কাজ শুরু করেছে বলে তিনি দাবী করেন। মামলার বাদিকে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে এলাকাবাসী, জন প্রতিনিধি, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।