স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফ দুই দিন ব্যাপী প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের মেহেদীবাগ মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে কুরআন শরীফ প্রদর্শনীর সমাপনীর খবর সংবাদ পত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরে সকাল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসুলীরা মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে একত্রিত হতে থাকে। সকাল ৯টায় মহান আলাহর বানী হাতে লেখা আল কুরআন প্রদর্শনী শুরু হয়। ধর্মপ্রান নারী পুরুষ সহ সব বয়সের মানুষের মুখের বানী একটি কখন তারা দেখবে হাতে লেখা আল কুরআন। মসজিদ কমিটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত সুন্দরভাবে নারী পুরুষদের আলাদা ভাবে দেখভালের সুযোগ করে দেন। সকাল থেকে পালাক্রমে দিন ভর আসতে থাকে মানুষ। মানুষের উপস্থিতির কারন একটা বিষয় গ্রন্থটি এক নজর দেখা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেহেদী বাগ এলাকায় লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মানুষের উপস্থিতি এমন ছিল যে মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্স সহ আশপাশের এলাকার তিল পরিমান ঠাই ছিলোনা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা পবিত্র কুরআন মন কেড়েছে সব বয়সী মানুষের। দিনভর মানুষের মুখের দেখা হাতে লেখা হাবিবুর রহমানের কুরআনের কথা। মহাগ্রন্থ হাতে লেখা আল কুরআনটি সাদা কাগজে লাল, নীল, সবুজ কালি দিয়ে অচলে সুয়ায় ফুটে উঠেছে। হাতে লেখা কুরআনের সৌন্দর্য্য যেন বলে শেষ করার নয়। গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে প্রবেশ করলে মাসজিদে কুবার সভাপতি জিএম নূর ইসলাম, উপদেষ্টা তৈয়েব হাসান বাবু সহ মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান। হাতে লেখা কুরআন প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, পবিত্র কুরআন মহান আলাহতায়ালা ২৩ বছর ধরে নাযিল করেছিলেন। প্রতিটি সূরা কোন না কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরীফ মানবজাতির জন্য সঠিক পথ নির্দেশক। সকল সমস্যার সমাধান মহাগ্রন্থ আলকুরআনে রয়েছে। পৃথিবীতে সব কিছু নষ্ট হলেও কুরআন নষ্ট হবে না। বিশ্বের অন্য অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের হাফেজের সংখ্যা অনেক বেশী। মোঃ হাবিবুর রহমানের হাতে লেখা কুরআন শরীফটি যাতে রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে স্বীকৃত পাই সেজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনা হবে। মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে ব্যতিক্রমধর্মী ধর্মীয় চর্চা ও সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। মাসজিদ কুবা কমপ্লেক্সে এই ধরনের কুরআন প্রদর্শনীর জন্য মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই। মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের সভাপতি জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা: আবুল কালাম বাবলা, উপদেষ্টা ও সাবেক ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবু, প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা গ্রাম ডা: শাহাজান আলম, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল করিম, সদস্য আবু জাফর, গোলাম হোসেন, মোয়াজ্জিন হাফেজ মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফের লেখক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, হাতে লেখা কুরআন শরীফটি বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ আরব দেশের মানুষের মত কুরআনের প্রতি আকৃষ্ট। হাতে লেখা কুরআন শরীফটি লাল, নীল, সবুজ কালি দিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর আট মাস ধরে লিখেছি। এটি যাহাতে সরকারের কাছে স্বীকৃত পাই সেজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। দোয়া পরিচালনা করেন সদর হাসপাতাল মসজিদের ইমাম মুফতি হাফেজ মাওলানা সাইফুলাহ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলাম।