এফএনএস আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্যারিসে কুর্দি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক হামলাকারীর গুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় নগরীটির শোকাহত কুর্দি স¤প্রদায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসার পর পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। গত শুক্রবার ফ্রান্সের স্থানীয় সময় সকালে দেশটির রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে সন্দেহভাজন ৬৯ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ ফরাসির গুলিতে তিন বেসামরিক নিহত হয়, পুলিশ দ্রুতই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। গণমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর জানিয়েছে, বিভিন্ন সময় চালানো সা¤প্রদায়িক হামলার জন্য কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজনকে আগে থেকেই চিনত, মুখে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেগাল্ড দাগমানা জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত এ ট্রেনচালক সচেতনভাবেই বিদেশিদের খুঁজছিল, তবে ‘বিশেষ করে কুর্দিদের’ হত্যা করাই তার উদ্দেশ্য ছিল কিনা ‘তা নিশ্চিত নয়’। সন্ধ্যা নামার পর ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। বিক্ষুব্ধ কুর্দিরা রেস্তোরাঁর টেবিল-চেয়ার, ডাস্টবিন উল্টে ফেলে দেওয়ার পর একটি গাড়ি ভাংচুর করলে তাদের পিছু হটিয়ে দিতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে মারে। স্থানীয় মেয়র আলেকসন্দ্রা কহদেবা জানিয়েছেন, দুপুরের ঠিক আগে কুর্দি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, রেস্তোরাঁ ও নিকটবর্তী একটি সেলুনে গুলিবর্ষণ করে হামলাকারী। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গুলিবর্ষণের ‘প্রকৃত উদ্দেশ্য’ পরিষ্কার হয়নি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ‘ফ্রান্সের কুর্দিদের’ ওপর চালানো ‘ঘৃণ্য’ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। বড়দিনের আগে উৎসবমুখর প্যারিসে এ হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী বাসিন্দারা ও ব্যবসায়ীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। প্যারিসের গাহা দ্যু লেস্থ ট্রেন স্টেশনের কাছে দোকানপার্ট ও রেস্তোরাঁয় ছাওয়া ব্যস্ত একটি সড়কে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে এবং লোকজনকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলেছে। সন্দেহভাজন হামলাকারী বছরখানেক আগে প্যারিসে এক শরণার্থী শিবিরে তলোয়ার নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন। তিনি স¤প্রতি নিরাপত্তা হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জাতিগত বিদ্বেষের কোনো যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৌঁসুলিরা।