শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নূরনগরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী প্রতিযোগিতা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান শ্যামনগরে পানি সংরক্ষনের জন্য ড্রাম বিতরণ শ্যামনগরে সুপেয় পানির আরও প্লান্ট উদ্বোধন করলেন ইউএনও রনী খাতুন জলাভূমির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে দেওয়া যাবে না কর্মশালায় অতিরিক্ত সচিব মোঃ আক্তারুজ্জামান শিবপুর ও কুশখালীর জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শনে সদর ইউএনও আশাশুনিতে তথ্য অধিকার বুথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত আশাশুনিতে শাক—সবজী বীজ বিতরণ ও চাষী প্রশিক্ষন কয়রায় শিশুদের আনন্দদানে ও মেধা বিকাশে শিশু মেলা নতুন নির্বাচনী সামগ্রীতে এয়োদশ সংসদ নির্বাচন ## প্রয়োজনের অতিরিক্ত মালামাল কেনায় নিরুৎসাহিত এবং ব্যয় সংকোচনের পরামর্শ কমিশনের ## তিন লাখ ভোট কক্ষের জন্য ৭০ ধরণের সামগ্রী, সময় লাগবে ৬—৭ মাস ## দ্বাদশ সংসদের বেশির ভাগ মালামাল ব্যবহারে অনুপযোগী জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আর্থিক অনুদান প্রদান আজ

কলারোয়ায় মৃৎশিল্পের কারিগররা গুড়ের ভাঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খোরদো ও দেয়াড়া গ্রামের পালপাড়ার কারিগররা মাটির তৈরি গুড়ের ভাড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এই অঞ্চলের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড় রাখার জন্য বেশি বেশি মাটির তৈরি ভাড় ব্যবহার করা হয়। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঐতিহ্যবাহী খেজুর রসের গুড় সরবরাহ করা হয়। তাই পাল মশাইরা শীতের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভাড় তৈরিতে ব্যস্ত থাকে। তারা তাদের নিজস্ব নকশা ও সাইজে নামকরণ করে এসব ভাড় তৈরি করেন। কেউ নাম দেন গলা লম্বা ভাড়। আবার অনেকেই নাম দেন গোপাল ভাড়। এ ছাড়াও আকারও সাইজের দিক দিয়ে নামকরণ করা হয় কলস ভাড়। তবে কলস ব্যবহার করা হয় পানি সংরক্ষণ করার জন্য ও পানি বহন করার জন্য। আর ভাড় ব্যবহার করা হয় খেজুরের রস ও গুড় ইত্যাদি সংরক্ষণ করার জন্য। যশোর সাতক্ষীরা অঞ্চলজুড়ে এই খেজুেরর গুড়ের বেশ সুনাম রয়েছে। মোটকথা খেজুরের রস ও গুড় রাখার জন্য বেশি ব্যবহার করা হয়। সব গাছীরা ভিন্ন ভিন্ন কারিগরদের ভাড় ব্যবহার করে থাকেন। খোরদো পাল পাড়ায় কোয়েল রঞ্জিত পাল ভাড়ের পাশাপাশি আরও তৈরি করেন সরা, মালশা সহ মাটির তৈরি বিভিন্ন রকমের পাতিল। যেহেতু এখন খেজুর রসের সময় হওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন শিল্প কাজে। লক্ষ্মী দেবীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই সময় তাদের ভরা মৌসুম তারা বিভিন্ন সাইজের ভাড় তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং এটা বাজারে বিক্রি করে ভালো মানের মুনাফা অর্জন করছে। অপরদিকে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের পাল পাড়ার সন্ধ্যা রানী পাল জানান বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেশি হওয়ায় মাটির কাজ করে সংসার চালাতে হিমশিম হয়ে যাচ্ছে। যদি সরকার আমাদের এই কাজের উপর আর্থিক সহযোগিতা করে, তাহলে আমাদের বাপ-দাদার শিল্পটি ধরে রাখতে পারব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com