শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

সকল ষড়যন্ত্র-বাধাকে জয় করে ’৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে আ. লীগ -প্রধানমন্ত্রী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২

এফএনএস: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দলের নেতা-কর্মীরা সকল ষড়যন্ত্র ও বাঁধাকে মোকাবেলা করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, আঘাত আসবে, ষড়যন্ত্র হবে কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে। সেটাই আমরা চাই। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে একথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, জাতির পিতার স্বপ্ন ইনশাল­াহ আমরা পূরণ করবো। নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নিয়োগে নতুন আইন প্রণয়নসহ তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উলে­খ করে তিনি আবারও আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের আশ্বাস দেন। সরকার প্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছি। আগে নির্বাচন কমিশনের কোন আর্থিক সক্ষমতা ছিল না। সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কাছে রাখা ছিল, যেটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনের হাতে দিয়ে দিয়েছি। বাজেট থেকে সারাসরি তাদের টাকা দেয়া হয়। যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং বেশ কিছু স্থানে ইভিএম চালু করার কথা উলে­খ করে তিনি বলেন, ইভিএম করার পরে আর কোন ভোট জালিয়াতি করার সম্ভাবনা রয়েছে কি-না, তা আমার জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন-২০২২ পাশ করেছি। আমাদের যদি জনগণের ভোট চুরির দুরভিসন্ধি থাকতো তাহলে আমরা এই আইন কেন করলাম? খালেদা জিয়ার মত ঐ আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন আমরা করতে পারতাম। তাতো আমরা করি নাই। কারণ আমাদের জনগণের ওপর আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমরা চলি। ১৯৯৬ সালে ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল বলে উলে­খ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। বিএনপিকেও ছাড়েনি। তাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামায় জনগণ। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দেয়। ২০০৮ সাল থেকে পরপর তিনবার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে পৃথিবীর মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে উলে­খ করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় যেতে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল খালেদা জিয়া। বর্তমানে ভোটার আইডি, স্মার্ট করা হয়েছে। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর সন্তান দুর্নীতি করে টাকা আয় করতে ক্ষমতায় আসেনি উলে­খ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে তাঁর এবং তাঁর সরকারের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিলো। তিনি সেই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মোকাবিলা করেন, যা পরে ভুয়া প্রমাণিত হয়। আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে গেছে। দেশের প্রতিটি ঘরে আলো পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর বাবা রাষ্ট্রপতি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর তিনি চার চারবার প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পরিবার দুর্নীতিই যদি করতো, তাহলে দেশের মানুষকে আর কিছু দিতে পারতো না। তাঁরা দেশের মানুষকে দিতে এসেছেন। মানুষের জন্য করতে এসেছেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর আগে সম্মেলন মঞ্চে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’- এই স্লোগানে আয়োজিত হচ্ছে এবারের কাউন্সিল। এতে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অভ্যর্থনা কমিটির আহŸায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। শোক প্রস্তাবের পর সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতাও পালন করেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার আগামীর বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যেখানে প্রতিটি জনশক্তি স্মার্ট হবে তারা প্রতিটি কাজ অনলাইনে করতে শিখবে, ইকোনমি হবে ই ইকোনমি যতে সম্পূর্ণ অর্থব্যবস্থাপনা ডিজিটাল ডিভাইসে হবে। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মযোগ্যতা সবকিছুই আমরা ই-গর্ভানেন্সের মাধ্যমে করবো। ই-এডুকেশন, ই-থেলথ সহ সবকিছ্ইু ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে হবে। আমি আশাকরি, ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা তা করতে সক্ষম হব এবং সেটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তরুণ স¤প্রদায় তারা যত বেশি এই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা শিখবে তত আমরা দ্রুত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নানা অনুসঙ্গ ধারণ করে আমরা তরুণদের প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের প্রতিটি বিশ^বিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ ধরনের ৫৭টি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টার স্থাপন ও ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। ৯২টি হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সারা দেশে ৬ হাজার ৬৮৬টি ডিজিটাল সেন্টার এবং ১৩ হাজারের বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্ন্যান্স এবং স্মার্ট সোসাইটি-এই চারটি হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর উৎক্ষেপিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে এবং এখন দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ১৮ কোটি ১৭ লাখ মোবাইল সীম ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ৬২ লাখ এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে গিয়েছে। তিনি বলেন, আমি একটা কথাই বলবো আমরা সকল বন্ধাত্ব কাটিয়ে আজকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। তারমধ্যে একটা বাধা এসেছিল করোনা এরপর শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আমার আহŸান, আমরা ঐ যুদ্ধ চাইনা, স্যাংশন চাইনা। ঐগুলো বন্ধ করেন। সকল দেশ স্বাধীন। স্বাধীনভাবে তার চলার অধিকার আছে। এই অধিকার সকল দেশের থাকতে হবে। যুদ্ধ মানুষের ক্ষতি করে, যুদ্ধের ভয়াবহতা কি আমরা জানি। ’৭১ সালে তিনি বন্দিখানায় ছিলেন এবং তাঁর প্রথম সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয় এর জন্ম সে সময়। সে সময় পাকিস্তানী ক্যাম্পে নিয়ে মেয়েদের অত্যাচার স্মরণ করে বলেন সবথেকে মেয়েরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, শিশুরা বেশি ক্ষাতগ্রস্ত হয়, তাদের মানবাকিার লঙ্ঘিত হয় ঐ যুদ্ধের সময়। তিনি বলেন, এজন্য যুদ্ধ চাইনা। আমি বিশ^নেতৃবৃন্দের কাছে আহŸান জানাবো- ঐ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করেন। তাদেরকে উস্কানি দেয়া বন্ধ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তি চাই। কেবল কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক অভিঘাত থেকে আমরা বের হয়ে আসছিলাম সেখানে এই য্দ্ধু আর স্যাংশন আমাদের সকল অগ্রযাত্রা নষ্ট করছে। উন্নত দেশগুলোও আজকে হিমসিম খাচ্ছে, কতভাগ বিদ্যুতের দাম তারা বাড়িয়েছে। আমরা বাংলাদেশ এখনও ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। সেজন্যই আমি সকলকে আহŸান জানিয়েছি যার যেটুকু জমি আছে চাষ করেন বা উৎপাদন করেন। আমরা উৎপাদন বাড়িয়ে নিজেদেরটা নিজেরা খাব কিন্তু করো কাছে হাত পেতে চলবো না, যদিও আমাদের সম্পদ কম। সরকার প্রধান বলেন, করোনা মহামারিতেও তাঁর সরকার দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। টিকা পাওয়ার যোগ্য শতভাগ মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। ২৮টি প্যাকেজের আওতায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বস্তিবাসী, দরিদ্র ও স্বল্পআয়ের মানুষ যাঁরা অন্যের কাছে হাত পাততে পারেন না, হটলাইনে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘরে চাল-ডালসহ খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় প্রায় ৭ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নানাভাবে উপকৃত হয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠান উপকৃত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯৯ হাজার। এছাড়াও দলের নেতা-কর্মীরা প্রায় ২ কোটি মানুষকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তাখাতে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের বর্তমান মাথা পিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে তখন দেশ উন্নত মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। তাই নিজের জীবন থাকতে বাংলাদেশের স্বার্থ নষ্ট হবে না বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। জাতির পিতার যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে যে বলেছিলেন তাঁর মাটি ও মনুষ আছে এবং এই মাটি ও মানুষ দিয়েই তিনি দেশ গড়বেন, তাঁর সরকারও সেই নীতিতেই বিশ্বাসী। দেশের মানুষের ওপর তাঁর আস্থা ও বিশ্বাস আছে এবং একাজ বাংলার জনগণ পারবে বলে তিনি জনগণের ওপর আস্থা ব্যক্ত করে যেকোন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাঁর দল আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। কেননা, এটাই আওয়ামী লীগ এবং এটাই আওয়ামী লীগের শিক্ষা বলেও তিনি উলে­খ করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস যেমন সংগ্রামের ইতিহাস আবার সেই সাথে সাথে আওয়ামী লীগই পারে একটা দেশকে উন্নত করতে বা এগিয়ে নিয়ে যেতে, যেভাবে এখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতির পিতার ভাষণের উদ্ধৃতিও তুলে ধরেন। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। বাংলাদেশের মানুষ যেদিন পেট ভইরা খাইতে পাইবে, যেদিন প্রত্যেকের মুখে হাসি ফুটিবে, আওয়ামী লীগের সংগ্রাম সেইদিনই ক্ষান্ত হইবে।’ আজকে আওয়ামী লীগ এটুকু বলতে পারে বাংলাদেশের কোন মানুষ অভ‚ক্ত থাকে না, উলে­খ করে তাই জাতির পিতার উদ্দেশে বলেন, পিতা আমরা কথা দিলাম আপনার জনগণ কখনও অভ‚ক্ত থাকবে না, আপনার জনগণ কষ্টে থাকবে না, আপনার যে আদর্শ আছে, সেই আদর্শ নিয়ে জনগণের পাশে থেকেই এই জনগণকে সুন্দর জীবন দিব, উন্নত জীবন দিব এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর সেভাবেই এদেশ পরিচালনা করবো। তিনি বলেন, যত অশুভ শক্তি যত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করুক, বাঙালি এগিয়ে যাবে আগ্রযাত্রার পথে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবো। এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব। নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার- সুকান্তের ভাষাতেও তিনি সেই প্রত্যয়ই ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com