শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দৃষ্টিপাতকে পরিকল্পনামন্ত্রী \ পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় দুর্নীতির সুযোগ থাকে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

জি এম শাহনেওয়াজ, ঢাকা থেকে \ দুর্নীতি স্বীকৃত সত্য। আমি শুধু বলছি তা নয়। দুর্নীতি নিয়ে যারা গবেষণা করেন এবং বৈষ্ণিক সংস্থাগুলো তারাও এটাই বলেন। এ নিয়ে আমি কোনো তর্কে যাব না। তবে এটা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ পুঁজিবাদী মডেলে দেশ পরিচালনা করার কারণে এই দুর্নীতি হয়ে থাকে। এখানে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য বাড়ে। তবে দেশে কেউ না খেয়ে মরছে না। দৃষ্টিপাতের সঙ্গে তার দপ্তরে খোলামেলা আলোচনায় ও একান্ত সাক্ষাতকারে সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী ও সাবেক সিএসপি এম এ মান্নান এসব কথা বলেন। প্রকল্পে দুনীতির বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দুর্নীতি স্বীকৃত সত্য। দুর্নীতি নিয়ে যারা গবেষণা করেন বৈষ্ণিক সংস্থা তারাও বলেন। এটা নিয়ে আমি কোনো তর্কে যাব না। তবে এটাকে দূর করার জন্য পথ কি? কিন্তু স্বীকার করতে হবে পুঁজিবাদী মডেলে দুর্নীতির সুযোগ থাকে বেশি। কারণ দুর্নীতির মাধ্যমে আপনি অর্থ আয় করলেও ব্যয় করতে পারবেন না। তবে বিশাল বিশাল বাড়ি বানাতে পারবেন ও রাজ-প্রাসাদ তৈরি করতে পারবেন। এর মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিতে পারবেন । দুর্নীতি কমানোর পথ বন্ধের জন্য আইন অনুসরণ করে চলছে সরকার উলে­খ করে মন্ত্রী বলেন, যারপরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), দুর্নীতি বিরোধী আইন এবং পাবলিক সার্ভিস ডিসিপ্লিনারি আইন প্রণয়ন করেছি। এর পরও জনগন সন্তুষ্ট না। কারণ দৃশ্যত দুর্নীতি কমেনি, যতটা আমরা চাই। আমরা চাপটা অব্যাহত রেখেছি। দুর্নীতিকে আমরা রোখার চেষ্টা করব; তার আগে দারিদ্যের সংখ্যা আরও কমার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট রয়েছে সরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রকল্প ব্যয় ও নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়া প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটি জটিল ও জটপাকানো বিষয়। কিছুক্ষেত্রে সঙ্গত কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে। তবে কিছু ক্ষেত্রে মানুষের ঢিলেমি, কাজে গাফলতি, দুর্নীতি এবং বাইরের যাদের থেকে ঋণ নেয়া হয়, – তারাও এখানে থাকেন। তাদের সুবিধার জন্য প্রকল্পের কাজকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন। এর পরও আমরা তাদের কিছু বলতে পারি না ও সইতে পারি না; এটা জটিল ব্যাপার। এতো সমস্যার পরও আমরা বলছি, -আমাদের মন পরিস্কার। প্রকল্পের বিলম্ব নিয়ে, -প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিব্রত, বিরক্ত ও দু:খ প্রকাশ করেন। আমাদেরকে তিনি অনুশাসন দেন। দুর্নীতি ও কাজে গাফলতির কারণে কোনো আমলার শাস্তি হয়। রাজনৈতিক ব্যক্তির শাস্তি হয়। জেলেও গেছেন অনেকেই। এর পরও দুর্নীতি কমানো ও শাস্তির জন্য সাধারণ মানুষ যে লেবেলে দেখতে চাই, ওই লেবেলে হয় না। আমরা চাই প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হোক এবং এ বিষয়ে আমাদের নিদের্শনা রয়েছে। প্রকল্প পরিদর্শনে আপনার কর্মকর্তাদের দক্ষত উন্নয়ন এবং জনবল ঘাটতির কারণে কোন সমস্যা হয় কি না জানতে চাইলে এম এ মান্নান বলেন, ৫০ কোটি টাকার উপরে দুই হাজার প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর বাইরে কয়েক হাজার প্রকল্প রয়েছে; যেগুলো মন্ত্রণালয়ভিত্তিক পরিচালিত হয়। তবে, আইএমইডির মাধ্যমে আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করছি। কিন্তু পরিকল্পনা পরিদর্শনে যে পরিমাণ জনবল দরকার তা নেই – এটা সত্য। কিন্তু আমার তত্বাবধানে যে প্রকল্পগুলো রয়েছে, – সেগুলোর তদারকির জন্য ঢাকার বাইরে কোনো অফিস নেই। এমনকি যারা আইএমইডিতে চাকরি করেন তারা প্রকৌশলী নন; দুই-একজন ছাড়া। তাই আইএমইডিতে জনবল ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। এটার শক্তি বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য বিভাগীয় পর্যায়ে অফিস তৈরি করা এবং পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়েও অফিস নিয়ে যাওয়া। এর মাধ্যমে প্রকল্পের তদারকি ও নজরদারি বাড়ানো হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জনগনের জন্য উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা। ন্যায়সঙ্গত জীবনব্যবস্থা গড়ে তোলা; যেখানে ধনী-দরিদ্রের আকাশচুম্বী বৈষম্য থাকে না। সুযোগ-সুবিধা যাতে সব স্তরের মানুষ কাছাকাছি পায়। একজন মানুষ-ও যাতে নিজেদের বঞ্চিত মনে না করেন। যুদ্ধ-বিধ্বংস্ত বাংলাদেশের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিজেদের আতœনিয়োগ করেছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল, – বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি ভাষার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা। মানুষের নির্বিঘেœ চলাফেরার জন্য শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। পরিকল্পন মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ পুর্নবাসন করা। এক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অর্থনীতির মূলধারা কৃষি, শিল্প ও পাট ইত্যাদিকে অবহেলা শুরু করলো। দলীয় ব্যবসায়ীদের দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য পরিকল্পনা হাতে নিলো বিএনপি-জামায়াত সরকার। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর দীর্ঘসময় চেষ্টার পরও অর্থনীতির চাকা সচল করতে পারেনি। পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা স্থবির হয়ে যায়। মানুষের মাথাপিছু আয় মোটামুটি এক-দুই শতাংশ করে বাড়ছিল। অন্য এক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১বছর পর প্রথম ক্ষমতায় আসে বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ তারই কন্যার হাত ধরে। কিন্তু ২০০১ সালে আবার বিএনপি-জামায়াত সরকার সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারে আসে টানা তিনমেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com