কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় হলুদের বাম্পার ফলনে লাভবান হচ্ছে স্থানীয় চাষিরা। উপজেলার আলাইপুর ও কামারালিসহ বিভিন্ন গ্রামে অনেক চাষি হলুদের বাণিজ্যিক চাষ করে সফল হচ্ছেন। তারা পতিত জমিতে হলুদ চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। চলতি মৌসুম হলুদের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদিত হলুদের ফলনও হয়েছে ভালো। উপজেলার এই এলাকার ভূমি উঁচু থাকায় এই এলাকাগুলোতে, হলুদ, আদা, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচসহ প্রায় সব ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়। কামারালী গ্রামের কৃষকরা গ্রীষ্ম কালীন টমেটো চাষ করে নজর কেড়েছেন সারাদেশে। উপজেলার কামারালী এলাকার চাষি ইউপি সদস্য ডাবলু হোসেন জানান, বিঘা প্রতি সার ও বীজসহ খরচ হয় ২০-৩০ হাজার টাকা। প্রতি মণ কাঁচা হলুদ বিক্রি হয় ১২ শত থেকে ১৮ শত টাকা পর্যন্ত। হলুদ চাষে জৈব সার ব্যবহারে খরচ হয় কম। ফলন ভাল হলে প্রতি বিঘা জমিতে ১০০ মণ পর্যন্ত হলুদ উৎপাদন হয়ে থাকে। এক বিঘা জমিতে ভাল ফলন হলে প্রায় লক্ষাধিক টাকার কাঁচাহলুদ বিক্রি করা যায়। তিনি আরো বলেন এ বছর হলুদ আবাদ করছেন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। এ বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করেছেন। এরমধ্যে অনেক পতিত জমিও ছিল। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই হলুদ চাষে এগিয়ে এসেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেন মিয়া বলেন, উপজেলায় এবার বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ৮৭ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করা হয়েছে। লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ২৬১০ মেট্রিকটন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হলুদ চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। হলুদ চাষে যেমন ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতে পারে তেমনি জাতীয় চাহিদা পূরণ করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।