ঢাকা ব্যুরো \ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পটি চলতি মাসের মধ্যভাগের মধ্যে অনুমোদিত না হলে পূর্বের মতো কাগুজে মুদ্রিুত ব্যালটে করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন-ইসি। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা রবিবার (৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেন, ইভিএম প্রকল্পটি এখনো অনুমোদন পায়নি। আশা করছি মধ্য জানুয়ারির মধ্যে এটির সুরহা হয়ে যাবে। যদি না হয় এ সময়ের মধ্যে তাহলে আগের মতো ব্যালটে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। বলেন, নতুন প্রস্তাবিত ইভিএম ছাড়া দেড়শ আসনে নির্বাচন করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের কাছে বর্তমানে যা আছে তাই দিয়েই ভোটের আয়োজন করব। রাশেদা সুলতানা বলেন, ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে সরকারকে আট হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছে ইসি। সেই প্রকল্প খুব একটা এগোচ্ছে বলে মনে হয় না। এ সময় এনআইডি সম্পর্কে তিনি বলেন, এনআইডি সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সংকট নেই। এ বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা নিজেরা বসে পরে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করব। বিষয়টা যেহেতু টেকনিক্যাল, তাই আইটি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ও মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো শুনেছি। আমরা কোনো মতামত দেইনি। এনআইডি সেবা ইসিতে রাখতে শিক্ষাবিদদের পরামর্শ : ব্যয় সংকোচন, অভিজ্ঞতা ও জনবলের দক্ষতা কাজে লাগাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ডেটাবেজ নির্বাচন কমিশনের কাছে রাখার পক্ষে পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদ মো. কায়কোবাদ। রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ইসি ভবনে কমিশনের সঙ্গে সভা করে এ পরামর্শ দেন তারা। বুয়েটের সাবেক এই অধ্যাপক আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন দীর্ঘদিন ধরে ডেটাবেজ রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। নতুন করে কোনো সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হলেও ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। তবে ডেটাবেজ হস্তান্তর করা হলেও ইভিএমে ভোট গ্রহণে কোনো অসুবিধা হবে না বলে মতামত দেন আরেকজন শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, এনআইডি ডেটাবেজ যেখানেই থাকুক, তা স্বতন্ত্র থাকতে হবে। আঠারো বছরের কম বয়সীদেরও এ তালিকায় যুক্ত করার ওপর মত দেন তিনি। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা জানান, তাদের পরামর্শ কমিশন সভায় আলোচনা করা হবে।