বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ এলাকায় অবস্থিত আর এ কারনে আমাদের দেশের আবহাওয়া বরাবরই সহনশীল। কিন্তু বাস্তবতা হলো এবারের শীত যেন অতিরিক্ত কেবল অতিরিক্ত বলাই যথাযথ হবে না এবারের শীত দৃশ্যতঃ হাড় কাপানো। শীত এতটুকু জেকে বসেছে যে অতি পুরাতন জামানায় শীতার্তরা যেভাবে আগুন জ্বালিয়ে শীতের প্রকোপ হতে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করতো এই সময় গুলোতে শীতের ভয়াবহতা হতে পরিত্রান পেতে আগুন জালিয়ে শীত নিবারন করছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় বর্তমান সময়ে যেভাবে শীত আক্রমন করে চলেছে নিকট অতীতে এমন শীতের প্রকোপ ও প্রভাব দেখা যাই নি। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এগার ও দশ ডিগ্রীতে নেমে এসেছে। গত কয়েকদিন যাবৎ দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে পালা দিয়ে দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে শীতের ভয়াবহতা দেখা যাচ্ছে। গত দুই দিনে চুয়াডাঙ্গার পাশাপাশি যশোরেও ব্যাপক ভাবে ঠান্ডা পড়ছে এবং শীতের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। গত দুইদিনে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন আট/নয় ডিগ্রীতে নেমে এসেছে। যশোর চুয়াডাঙ্গার পাশাপাশি সাতক্ষীরাতেও পড়ছে শীত, জেলা শহর সহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে বইছে শৈতপ্রবাহ সে কারনে দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় ছন্দপতন ঘটছে। খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা শীতের কারনে হ্রাস পেয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ প্রচন্ড হীমশীতল ঠান্ডা বাতাসের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক ভাবে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। জেলার মৎস্য শিল্পে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সাতক্ষীরার হাজার হাজার চিংড়ী ও সাদা মাছের ঘের গুলো ছেচা মারা করতে হিমসীম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। কৃষি উৎপাদনেও ছন্দপতন ঘটছে। বিশেষ করে সবজি ক্ষেত গুলো শীতের আক্রমনে ও কুয়াশার কল্যানে উৎপাদনে গতিহীন হয়ে পড়েছে। শীতার্ত মানুষ গুলো চরম বিপদসীমায়। সমাজের বিত্তবানদেরকে শীতার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসা জরুরী। শীতের কবল হতে জন সাধারন নিরাপদ থাকুক এই প্রত্যাশা।