কুশোডাঙ্গা (কলারোয়া) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের সরিষার ক্ষেত হলুদ ফুল পড়ে যাওয়া পর এখন পাকা সরিষায় একাকার হয়ে গেছে। আর এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটছে হাসির ঝিলিক। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি লক্ষ্যমাত্রা অজির্ত হয়েছে। তাছাড়া সরকারিভাবে সরিষা চাষে কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় সার, বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করার ফলে কৃষকেরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। স্হনীয় কৃষকেরা জানান,চলতি বছরে কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে বিভিন্ন মাঠে সরিষার আবাদ হয়েছে। ফলন ও হয়েছে বাম্পার। বাম্পার ফলনের পেছনে কারণ হিসেবে জানা যায়, পোকার আক্রমণ থেকে সরিষা রক্ষা করতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আগেই বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। বর্তমানে নতুন সরিষা ঘরে তুলছেন কৃষকেরা। পুরোপুরি সরিষা তুলতে এখনো দু-সপ্তাহের মত সময় লাগবে। কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পিছলাপোল গ্রামের কৃষক আনারুল ইসলাম জানান, কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলের কৃষকদেরও বুদ্ধির বিকাশ ঘটেছে। এ বছর কাঁচা পাকা সরিষা বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আমার ১০ বিঘা জমির সরিষা পেকে যাওয়াতে উঠানো শুরু করেছি। এখন বর্তমান বাজারে প্রতিমণ সরিষার দাম ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা দরে বেচাবিক্রি চলছে। উপজেলার কলারোয়া সরিষা বিক্রি করতে আসা কৃষক শরিফুল বলেন, বিঘা প্রতি চার মণ থেকে ছয় মণ করে সরিষা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিমণ সরিষার মূল্য প্রকারভেদে ২২০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে শুকানো সরিষার দাম আরো বেশি হবে বলে জানান তিনি।কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবুল হোসেন জানান,এ বছর কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন করা হয়েছে।সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমণ হলে কি করুণীয় সে বিষয়ে সচেতন করেছেন। তাছাড়া কর্মকর্তারা সব সময় মাঠে থেকে কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন