কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে এসে অভিনব কায়দায় স্বর্ণের অলংকার চুরি করে পালানোর সময় শাহিনুর বিশ্বাস (৫০) নামে এক ভূয়া মেজরকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে গণধোলাই দিয়ে তার নিকট থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণের অলংকার উদ্ধার করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (১১ জানুয়ারী) বিকালে উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের রায়টা গ্রামের আব্দুর রহিমের বাড়িতে। আটক ভুয়া মেজর খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কোমলপুর গ্রামের সরদার পাড়ার মৃত আরশাদ আলীর ছেলে। রায়টা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, গত বুধবার বিকালে আমাদের গ্রামের আব্দুর রহিমের বাড়িতে ওই ব্যক্তি তার ছেলের জন্য মেয়ে দেখার উদ্দেশ্যে আসেন। তিনি নিজেকে একজন সেনা বাহিনীর মেজর এবং তার ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকুরী করেন বলে পরিচয় দেন। সে মোতাবেক বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে তাকে দেখান। দেখে মেয়েটি তার পছন্দ হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনকে জানান। এরপর তিনি মেয়েটিকে মা বলে ডেকে বলে তুমি স্বর্ণের অলংকারগুলো খুলে ওয়াসরুম থেকে মুখের মিকাপগুলো ধুয়ে আসো। মেয়েটি ঘরের মধ্যে স্বর্ণের অলংকারগুলো খুলে ওয়াসরুমে গেলেই এই সুযোগে তিনি ঘরের মধ্যে থেকে একটি স্বর্ণের চেইন, আ্ংটি ও কানের দুল চুরি করে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তার গতিবিধি বুঝতে পেরে বাড়ির লোকজনসহ পার্শ্ববতী লোকজন ছুটে এসে তাকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে চুরি হওয়া স্বর্ণ উদ্ধার করে তাকে থানা পুলিশ সোপর্দ করে। এদিকে তার আটকের বিষয়টি সামাজিক মাধ্যম ফেজবুকে ভাইরাল হলে উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের ছোট রাজনগর, বামনালী গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন এবং পার্শ্ববর্তী যশোর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রায় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) সকাল থেকে থানায় ভিড় জমিয়ে আটক ওই ভুয়া মেজরের বিরুদ্ধে ওইসব অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন। থানায় হাজির হওয়া লিটন, বিলকিছ, আব্দুর রহিমসহ অনেকে জানান,আটক ওই ভুয়া মেজর একইভাবে ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়ে তাদের বাড়ি থেকে একই কায়দায় স্বর্ণের অলংকারসহ নগদ টাকা চুরি করে পালিয়ে আসে। আটক প্রতারক ভুয়া মেজর শাহিন তার অপরাধের বিষয়টি স্বিকার করে বলেন, তিরি আর কখনও এসব কাজ করবেন না। তাই এবারের মত ক্ষমা চাইছেন। এ ঘটনায় উপজেলার ছোট রাজনগর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত সাজ্জাত গাজির স্ত্রী বিলকিছ খাতুন বাদি হয়ে একটি এজাহার দিয়েছেন বলে থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দীনমৃধা জানান। এ ছাড়া তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ কলারোয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলায় ওই প্রতারক মেয়ে দেখার নামে এসব অপকর্মসহ ছুরি করে আসছে।