বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্ভিক্ষের গুরুতর ঝুঁকিতে গাজার ২১ লাখ বাসিন্দা : আইপিসি মিয়ানমারে জান্তার স্কুলে বিমান হামলায় ২০ শিশুসহ নিহত ২২ ভারতের কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ৩ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত ভারতের পাঞ্জাবে ভেজাল মদ পানে ১৪ জনের মৃত্যু রিয়াদে ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি প্রিন্সের বৈঠক ভারতের হামলায় ১১ সেনাসহ নিহত ৫১, জানালো পাকিস্তান আমিরাতের কাছে ১৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র কান চলচ্চিত্র উৎসবে গাজায় গণহত্যার নিন্দা হলিউড তারকাদের বিশ্বে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির শিকার ৮ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ : পর্যবেক্ষক সংস্থা চাকরি ছাঁটাইয়ের খবরে নিসানের শেয়ার দর ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি

নিরাপদ সড়কের দিক থেকে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩

ঢাকা ব্যুরো \ বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ- এমন প্রতিবেদনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়াদুর কাদের। তিনি বলেছেন, নিরাপদ সড়কের দিক থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। প্রশ্নকর্তা জানতে চান, বিভিন্ন গবেষনায় বলা হচ্ছে ‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হার দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ’। এম আব্দুল লতিফ গাড়ি চালকদের ডোপ টেষ্টবাধ্যতামূলক করার পরিকল্পণা আছে কিনা তা সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর কাছে জানতে চান। এসময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। টেবিলে প্রশ্ন-উত্তর উপস্থাপিত হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ এমন বিষয় সত্য নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সর্বশেষ ২০১০ সালে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হেলথ র‌্যাংকিং অনুসারে ১৮৩টি দেশের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হারে বাংলাদেশের অবস্থা ৮৮তম (মৃত্যু হার এক লাখে ১৬ দশমিক ৭৪ জন)। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান ও ভারতের অবস্থান যথাক্রমে ৭২, ৮২, ৮৫ ও ৯০তম। অর্থাৎ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপদ সড়কের দিক হতে ভারতের পরেই আমাদের অবস্থান। পরে সড়কের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। বলেন, বিভিন্ন সড়কে ৬টি বাঁক সোজা করা হয়েছে। মহাসড়কসমূহে ডিভাইডার বসানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে সার্ভিস পেন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নকল্পে গত বছর ৩০ জানুয়ারি হতে পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের সময় ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরে কয়েকটি হাসপাতাল এবং অন্যান্য জেলা হাসপাতালে গাড়ি চালকদের ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভারী যানবাহনের ড্রাইভারদের লাইসেন্স নবায়নের সময় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সমিতির মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। গাড়ি চালকদের বিশ্রামের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তিনি আরও জানান, সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএ কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিসিতে কর্মরত সকল চালকের পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com