বিলাল হুসাইন নগরঘাটা থেকে ঃ সম্প্রতি শেষ হয়েছে ৪ বার সীমানা নির্ধারণের কাজ। তবে কবে নাগাত শুরু হবে খাল পূনঃখননের কাজ কেউ জানেনা। এমনটায় জানিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন ভুক্তোভূগী এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে তালার নগরঘাটায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খাল পূনঃখননের জোর দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় আজও খান পূনঃখননের কাজ শুরু হয়নি। যার ফলশ্র“তিতে প্রতি বছর বর্যা মৌসুমে এক প্রকার সংশয়ের মধ্যে থাকতে হয় এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানান ভুঁইফোড়ের মত যত্রতত্রভাবে মৎস্য ঘের গড়ে ওঠার কারণে জলাবদ্ধতার মূল কারণ। নগরঘাটা ইউনিয়নের গাবতলা, খানপাড়া, পালপাড়া, হাজরাপাড়া, নিমতলা রথখোলা, কাপাস ডাংঙ্গা, আসাননগর, বেড়া ডাংঙ্গা, হরিণখোলা এবং গোয়ালপোতা গ্রামগুলো হলো নিম্ম এলাকা। এই গ্রামের কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে পানি নিস্কাসনের খালটি। উক্ত খালটি সদরের লাবসা ইউনিয়নের ধেঁড়েখালী স্লূইচ গেইট হয়ে বিনেরপোতা কুলুটিয়া বেতনা নদীতে এসে যোগ হয়েছে। নগরঘাটা গ্রামের মোঃ দাউত আলী মোড়লের দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান তৎকালীন পাকিস্তান শাসনামলে উক্ত খালটি প্রথমবারের মত খনন করা হয়। কিন্তু সে সময় উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা না থাকায় কোঁদাল দিয়ে মাটি কেটে ঝুড়ির সাহার্য্যে খাল খনন করতে হয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী একবার এলাকাবাসীর দাবীর মূখে দায়সারা ভাবে খালের দুই ধার চেঁসে ছুলে খাল খননের নমুনা দেখায় সেই সময় দায়ীত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তিনি আরো জানান বেতনা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার খালে জোয়ার ভাটির পানি আসতে না পারায় পানি নিস্কাসনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। মোঃ কওছার আলী জানান এই পর্রন্ত ৪ বার খাল খননের জন্য সীমানা নির্ধারণ করে গেছেন। টিবিএম নং ও বসিয়ে গেছেন। কিন্তু কি কারণে খাল খনন করা হয় না সেটি বুঝলামনা। খালটি দ্রুত পূনঃখনন করা হলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা অনেকাংশ দূরভীত হবে। এমতাবস্থায় উক্ত খালটি দ্রুত পূনঃখননের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।