মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিন আগ্রাসনে অস্ত্রদাতাদের দেশেই স্বাধীনতার আওয়াজ উঠেছে: সাদ্দাম ইসরাইলের ভূখন্ডে হামাসের রকেট হামলা: রাফায় ইসরাইলি তান্ডব শুরু সাতক্ষীরায় জমি জমা নিয়া বিরোধ বড় ভাই কর্তৃক ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ সাতক্ষীরায় কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত দেকা দিয়েছে ঃ জনমনে স্বস্তি সাতক্ষীরায় এনএসআই অভিযানে জব্দ কেমিক্যাল মেশানো অপরিপক্ক ২০ টন আম বিনষ্ট কালিগঞ্জ ছাত্রলীগের উদ্যোগে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে পথসভা কপিলমুনিতে জেলা পরিষদের রাস্তার জায়গা দখল করে বিক্রয় ঃ অতঃপর উদ্ধার পাইকগাছায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সড়কের পাশে মরা গাছ যেন মরণ ফাঁদ আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর মধ্যে মাঠের লড়াই জমে উঠেছে

বন্ধ সরকারি পাটকলে শ্রমিকদের বিদায় করা হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বহাল

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩

এফএনএস : বন্ধ সরকারি পাটকলগুলো থেকে শ্রমিকদের বিদায় করা হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বহাল রয়েছে। বর্তমানে বন্ধ ওই পাটকলগুলো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ১ হাজার ৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তার মধ্যে নিরাপত্তা প্রহরী ছাড়া অন্যান্যের কাজ নেই। আর ওই খাতে সরকারের বেতন বাবদ প্রতি মাসে ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। বর্তমানে বন্ধ ৯টি সরকারি পাটকলে ৯ জন উৎপাদন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছে। আর বন্ধ পাটকলে পাট কেনার প্রয়োজন না থাকলেও প্রতিটি মিলে বহাল রয়েছে একাধিক ক্রয় কর্মকর্তা। তাছাড়া ওই মিলগুলোতে মান নিয়ন্ত্রণ, বাজারজাতকরণ ও কারখানা তদারকি কর্মকর্তাও রয়েছে। বিজেএমসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত ২০২০ সালের ১ জুলাই বন্ধ করে দেয়া হয় সরকারি ৯টি পাটকল। তাতে ৭টি পাটকলের ৩৩ হাজার ৩০৬ জন শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। তার মধ্যে ১৫ হাজার ৩০ স্থায়ী শ্রমিক এবং ১৪ হাজার ২৭৬ জন অস্থায়ী (বদলি) শ্রমিক ছিল। তাছাড়া বিজেএমসির তালিকায় নেই খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিলের প্রায় ৪ হাজার দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিকের নাম। গত অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ ৯টি মিলে ১ হাজার ৪৩ জন কর্মরত ছিল। তার মধ্যে অবসরজনিত ছুটিতে গেছে ৪ জন। পাটকলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেছনে গত আড়াই বছরে বেতন বাবদ মোট ১১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সূত্র জানায়, বন্ধ ক্রিসেন্ট জুট মিলে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ১৮৯ জন জনবল রয়েছে। তারপরেই রয়েছে প্লাটিনাম ও খালিশপুর জুট মিল। ওই পাটকল দুটিতে ১৬৮ জন করে কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। তাছাড়া স্টার জুট মিলে ১২২ জন, জেজেআইতে ১০৭ জন, দৌলতপুরে ৯৬ জন, ইস্টার্নে ৮৩ জন, কার্পেটিংয়ে ৬৬ জন এবং আলিম জুট মিলে ৪৪ জন কর্মরত রয়েছে। বর্তমানে ক্রিসেন্ট জুট মিলের ফটকে তালা ঝুলছে। আর মিলে যারা এখনো বহাল রয়েছে তারা প্রতিদিন এসে ঘুরেফিরে চলে যায়। সূত্র আরো জানায়, বন্ধ পাটকলগুলোর শ্রমিকদের অধিকাংশই পাওনা বুঝে পেয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭টি পাটকলের ১৪ হাজার ৭৯৫ জন শ্রমিক নগদ ৭৬০ কোটি টাকা এবং ৬৫৮ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বুঝে পেয়েছে। আর ২৩৫ জন স্থায়ী শ্রমিকের পাওনা বাকি রয়েছে। তাছাড়া ১০৮ কোটি টাকা পেয়েছে ১৩ হাজার ৮৮৯ জন অস্থায়ী (বদলি) শ্রমিক আর বাকি রয়েছে ৩৮৭ জন শ্রমিক। তবে খালিশপুর ও দৌলতপুর পাটকলের দৈনিকভিত্তিক ৪ হাজার শ্রমিকের পাওনার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিকে সার্বিক বিষয়ে বিজেএমসির আঞ্চলিক সমন্বয়কারী গোলাম রব্বানী জানান, বন্ধ সরকারি পাটকলগুলো ইজারার মাধ্যমে চালুর চেষ্টা চলছে। সেজন্য জনবলের বিষয়ে এতোদিন আলোচনা হয়নি। তাছাড়া পাটকল বন্ধের প্রথম বছর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতেই অতিবাহিত হয়েছে। দ্বিতীয় বছরে অতিরিক্ত জনবলের বিষয়টি সামনে এসেছে। অনেক বিকল্প নিয়ে আলোচনা চলছে। খুব দ্রুত এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com