 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    দৃষ্টিপাত ডেস্ক \ শরীয়তপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিস কর্তৃক শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নারি ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক ও সহযোগী কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ক এক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের ২০৩ নং কক্ষে সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ সালাউদ্দিন এর সঞ্চালনায় আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারি ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সালেহুজ্জামান এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ তারিক এজাজ। উক্ত কর্মশালায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মোঃ খালেদ মিয়া আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা পেশ করেন। কর্মশালায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, দক্ষ কর্মচারী একটি দেশের সম্পদ। আদালতের বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ আপোষযোগ্য মামলা নিজেরাই আপোষ করতে পারেন, প্রয়োজনে আপোষ-মিমাংসার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে প্রেরন করতে পারেন। আদালতের সহযোগী কর্মচারীদেরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে বিচার প্রার্থী মানুষের স্বার্থে। দরিদ্র, অসহায় ও অস্বচ্ছল মানুষকে বিনা খরচে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কার্যক্রম সম্পর্কে আদালতের কর্মচারীরা অবগত হয়ে তা বিচার প্রার্থী জনগণকে করতে পারলে তারা মামলা না করেই লিগ্যাল এইড অফিসের মধ্যস্থতায় তাদের বিরোধ আপোসে নিষ্পত্তি করতে উৎসাহিত হবেন। কারণ মধ্যস্থতা ন্যায়বিচারের নতুন দ্যোতনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হলে দরিদ্র-বান্ধব বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তবেই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে আদালতের সহযোগী কর্মচারীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।