বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর দেবহাটা বিএনপির সদস্য নবায়ন উদ্বোধনী আয়োজনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ মুন্সীগঞ্জে তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শ্রীউলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ভাড়াশিমলায় ২৫০ প্রান্তিক কৃষানের মধ্যে সবজির বীজ বিতরণ খুলনার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গ্রেফতার বসন্তপুর ফকিরপাড়া জামে মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল

আহরিত রাজস্ব কোষাগারে জমা না পড়ায় সরকারের ব্যাংক ঋণের প্রবণতা বাড়ছে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

এফএনএস : আহরিত রাজস্ব সরকারের ঘরে যথাসময়ে জমা পড়ছে না। ফলে সরকারের ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৯০ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে মাত্র ৬৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। যথাসময়ে ট্রেজারিতে ২৫ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা জমা না হওয়ায় নগদ টাকার ওপর সরকারের চাপ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আদায়কৃত রাজস্ব সরকারি কোষাগারে যথাসময়ে জমা না হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে অর্থ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা অনেক সময় করদাতার সঙ্গে যোগসাজশ করে রাজস্ব আদায় দেখালেও ওই টাকা ট্রেজারিতে জমা হয় না। তাছাড়া বিভিন্ন কারণে এ ব্যবধান সামান্য টাকা হতে পারে। কারণ বিভিন্ন উৎস থেকে প্রযোজ্য হারে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কাটার পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা হয়। কিছু ক্ষেত্রে প্রতি মাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন দেখাতে কোনো কোনো উৎস থেকে বাড়তি পরিসংখ্যান সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি সমন্বিত বাজেট ও হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি বা আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়্যারে তথ্য আপডেট হওয়ার জটিলতাও থাকতে পারে। ওসব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা কমবেশি হতে পারে। সূত্র জানায়, রাজস্ব আহরণ ও জমার ব্যবধান বেশি হওয়া মানে অনিয়ম হচ্ছে। বর্তমানে কম রাজস্ব আহরণ এবং কোষাগারে রাজস্ব জমা না হওয়ায় সরকারের ব্যয়ে ঋণাত্মক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদের হারে ঊর্ধ্বগতিতে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেয়া ব্যয়সাপেক্ষ হওয়া এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কমে যাওয়ায় নগদ টাকার ওপর চাপ বেড়েছে। মূলত বাজেট মেটাতেই সরকার অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেয়। বিল-বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়া হয়। তাছাড়া সরকার ওভারড্রাফট এবং ‘উপায়-উপকরণ আগাম’ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও ঋণ নেয় সরকার। সরকার ওই দুই খাত থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত সরকার ঋণ নিতে পারে। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় এর পরিমাণ ১৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, অস্থিতিশীল ডলারের বাজার, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি এবং ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট থাকায় ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার বেড়েছে। আগের বছরের চেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের সুদ বাবদ খরচ বেড়েছে ২ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অভ্যন্তরীণ ঋণে সুদ বাবদ খরচ বেড়েছে ৫ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। আগামীতে তা আরো বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানান, বর্তমানে রাজস্ব আহরণের প্রায় সব কার্যক্রম অনলাইননির্ভর হওয়ায় এনবিআর যে রাজস্ব আহরণ করে, তা সরাসরি ট্রেজারিতেই জমা হওয়ার কথা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com