এফএনএস স্পোর্টস: আগের ম্যাচে হারের হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়াল পিএসজি। আলো ছড়ালেন দুই তারকা লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে। সাঁত এতিয়েনকে হারিয়ে লিগ ওয়ানে জয়ের পথে ফিরল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। প্যারিসে ঘরের মাঠে গত শনিবার রাতের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতে লিগ টেবিলে ১৬ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে পিএসজি। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর জোড়া গোল করেন এমবাপে। দুটি গোলেই অবদান রাখেন মেসি। এমবাপের অ্যাসিস্টে তৃতীয় গোলটি করেন দানিলো পেরেইরা। গত রাউন্ডে নঁতের বিপক্ষে একই ব্যবধানে হেরেছিল পিএসজি। সপ্তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। এমবাপের উদ্দেশ্যে নেইমারের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে আবার নিজেই পেয়ে যান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কিন্তু ছয় গজ বক্সের কোনা থেকে ভলিতে বল উড়িয়ে মারেন তিনি। দ্বাদশ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়ায় সাঁত এতিয়েন। কাছ থেকে ইউসুফের শট ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। ষোড়শ মিনিটে আর পারেননি তিনি। এই গোলে দায় আছে পিএসজির পেরেইরার। নিজেদের ডি-বক্সের বাইরে তিনি বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে পেয়ে যান দেনিস বুয়াঙ্গা। ওয়ান-অন-ওয়ানে দোন্নারুম্মাকে ফাঁকি দেন গ্যাবনের এই ফরোয়ার্ড। ২২তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিকে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান গোলরক্ষক। ২৮তম মিনিটে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট ঠেকান তিনি। মাঝে বুয়াঙ্গার ১৮ গজ দূর থেকে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি দোন্নারুম্মা। বিরতির আগে মেসি-এমবাপের নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে পিএসজি। ডান দিক থেকে মেসির দারুণ পাস ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট গোলরক্ষকের হাতে লেগে জালে জড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে আবারও এই দুই তারকার ঝলক। ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের দুই জনকে কাটিয়ে মেসি পাস দেন এমবাপেকে। এবারও প্রথম স্পর্শে বল জালে পাঠান বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। এগিয়ে যায় পিএসজি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পিএসজির হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের তালিকায় দুই নম্বরে থাকা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের পাশে বসলেন এমবাপে। দুই জনেরই গোল ১৫৬টি করে। ২০০ গোল করে তাদের ওপরে আছেন কেবল এদিনসন কাভানি। চার মিনিট পরই ফের সাঁত এতিয়েনের জালে বল। এবার গোলের জোগানদাতার ভ‚মিকায় এমবাপে। তার দারুণ ক্রসে দূরের পোষ্টে কাছ থেকে হেডে ব্যবধান বাড়ান পেরেইরা। বাকি সময়েও আধিপত্য ধরে রাখে পিএসজি। ৭৪তম মিনিটে মেসির পাস থেকে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা আনহেল দি মারিয়ার দারুণ শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। একটু পর ওয়ান-অন-ওয়ানে বাইরে মারেন মেসি। ৮০তম মিনিটে স্কোরশিটে নাম উঠতে পারত নেইমারের। তার শট পোষ্টে লাগে। শেষ দিকে দি মারিয়ার আরেকটি শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে ব্যবধান আর বাড়তে দেননি সফরকারী গোলরক্ষক। ২৬ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নিস। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে মার্সেই। এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা।