স্টাফ রিপোর্টার ঃ যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা, যমুন, গৌরী বহমান ততোকাল রবে কীর্তি তোমার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার মহান স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চির স্মরনীয় রাখতে উক্তিটি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাথা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ জন্ম হতো না। বাঙ্গালী জাতিকে পাক বাহিনীর হাত থেকে বঙ্গবন্ধু রক্ষা করেছিল। শুধু তাই নয় বাঙ্গালীর জাতির মুক্তির সকল আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ ছিল তিনি। সেই মহান নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ঘটা করে মহানায়কের জন্মদিন উদযাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের প্রচন্ড ভাল বাসতেন। বঙ্গবন্ধু আদর্শবান ও সৎ নেতা ছিলেন। তিনি একটি অসা¤প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিল। তিনি আমাদের মাঝে আর নেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন। আগামীতে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আজকের শিশুরা আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হবে। বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, অতি: জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মইনুল ইসলাম মঈন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা, সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর পূর্বে শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়। সর্বশেষে শিশুদের নিয়ে কেক কেটে জাতীর পিতা জন্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। এর পুর্বে সকালে শহরের খুলনা রোড মোড়স্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।