এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে\ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এক অফুরন্ত মহানিয়ামত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য-সম্পদে ভরপুর সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সবুজ চাদরে ঘেরা এ লীলাভূমিকে বলা হয় প্রকৃতির রানী। চিরযৌবনা সুন্দরবনের সৌন্দর্য মাধুর্য্য মায়ার বাঁধনে আকৃষ্ট করে রেখেছে ভ্রমণপিপাসু মানুষকে। ইট, কাঠ, পাথর, কংক্রিটের তৈরি কৃত্রিম স্থাপনা নয় দিগন্ত জোড়া সবুজ বৃক্ষ, কাঁকড়া, বিচ্ছু, সাপ, পাখ-পাখালি, বাঘ, বানর, হরিণের খুনসুটি চলাচুলি আর গভীর মিতালীর সম্পর্ক সুন্দরবনকে পৃথিবীর স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। স্বর্গীয় ছোঁয়া নিতে আর স্বর্গরাজ্যে বিচরণ করতে কার না মন চায়। হাজার কাজের ক্লান্তি ছেড়ে শত ব্যস্ততার কর্মযজ্ঞ ফেলে ছুটে আসা সুন্দরবনে হাজার হাজার মানুষের মতো ছুটে এসেছেন দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সুনাম অর্জনকারী সম্পাদক ও প্রকাশক জি এম নূর ইসলাম। প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে গতকাল ১৮ মার্চ শনিবার চারজন সফর সঙ্গী নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ফরেস্ট অফিস থেকে ট্রলারযোগে ভ্রমন করেন এই দৃষ্টিনন্দন সুন্দরবন নদীপথে মন্থর গতিতে ট্রলার যোগে এগিয়ে চলা নদীর দুপাশে দৃষ্টির সীমা বরাবর সবুজ বৃক্ষ সারি সারি কোথাও কেওড়া, কোথাও বাইন, গাছে গাছে পাখি আর বানরের অবাধ লুকোচুরি, নদীতে জেলের মৎস্য আহরণের সুনিপুণ কৌশল অবলোকন করতে করতে সুন্দরবনের ভিতরে পর্যটক স্পট কলাগাছিয়া পৌছান তিনি। সেখানে ঝাকে ঝাকে বানরের চেচামেচি হৈ-হুল্লোড় আর লুকোচুরি। বানরকে ভালোবেসে খেতে দেওয়া, কখন বা খাবার কেড়ে নেয়ার দৃশ্য, মায়াবী চিত্রালী হরিণের তুলতুলে গায়ে হাত বোলানোর সুযোগ মেলে ওই স্থান কলাগাছিয়াতেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অবলোকন মাঝেও জীবন্ত কিংবদন্তি এ মানুষটি দেশের প্রতি ভালোবাসার ছাপ রাখতে ভোলেননি। এসময় সফর সঙ্গী সাংবাদিকদেরকে দিলেন সুন্দরবন সম্পর্কিত নানামুখী দিকনির্দেশনা। কলাগাছিয়া, মাদারবাড়ী, আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সহ বেশ কিছু পর্যটক স্পট সম্পর্কে পত্রিকায় লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরে সুন্দরবনকে চেনা ও জানার পথ সুগম হয়। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পর্যটক সংখ্যা বাড়াতে পারলে জাতীয় রাজস্ব আয় বহু গুন বেয়ে যাবে। পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত উচ্ছ্বাসিত সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা ও থাকার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে আরো পর্যটক দিনে দিনে বাড়বে এমন ধারণা শুধিজনদের। কলাগাছিয়া থেকে বের হয়ে নদীপথে আবার সামনে অগ্রসর হওয়া, গন্তব্য আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম। এখানে দেখা মিলল ইট, কাঠ, পাথরের কৃত্রিম বাঘ, হরিণ, বানর, পাখি এবং প্রাকৃতিক সবুজ বৃক্ষের। ভ্রমনে আত্মতৃপ্তি অন্তর আত্মার ক্ষুধা তৃষ্ণা মেটানোর অমিও সুধা দানকারী এ সুন্দরবন ভ্রমণের কথা মনে রবে অমলিন। এ সময় তার সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ ঢাকা এর সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ ফারায়জুল হক ও নিমাই চন্দ্র ভৌমিক, দৈনিক দৃষ্টিপাত সাংবাদিক এস এম জাকির হোসেন, মোঃ আবু ইদ্রিস, মোঃ সোহরাব হোসেন, বিভাস মন্ডল, গাজী খালিদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।