‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহপ্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৭৯টি এবং চতুর্থ পর্যায়ের সাতশত ৫৭টিসহ মোট আটশত ৩৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। এর মধ্যে রূপসা উপজেলায় ৭৫টি, তেরখাদায় ৯০টি, ডুমুরিয়ায় ২০০টি, পাইকগাছায় ৬৬টি, দাকোপে ৭৫টি, বটিয়াঘাটায় ৮০টি, দিঘলিয়ায় ১৮০টি এবং ফুলতলা উপজেলায় ৭০টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন সোমবার দুপুরে তাঁর সম্মেলনকক্ষে প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিং এ এসকল তথ্য জানান। জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তৃতায় বলেন, খুলনা জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের কাজ সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। চতুর্থ পর্যায়ে ঘর নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় দুই লাখ ৮৪ হাজার পাঁচশত টাকা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রেসব্রিফিং এ জানানো হয়, ক শ্রেণির পরিবার যার জমি ও ঘর কিছুই নেই এমন ভূমিহীন-গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র পরিবার এবং খ শ্রেণির পরিবার যার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ জমির সংস্থান আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার। ক শ্রেণির পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিস্কন্টক খাস জমি, সরকারিভাবে ক্রয়কৃত জমি, সরকারের অনুকূলে কারও দানকৃত জমি অথবা রিজিউমকৃত জমিতে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ২শতক জমিসহ সেমিপাকা একক গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। খাস জমির সংস্থান না থাকায় খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় ৩.৭০ একর, দিঘলিয়া উপজেলায় ২.৪১৮ একর, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২.০০ একর, ফুলতলা উপজেলায় ৪.১২ একর এবং রূপসা উপজেলায় ০.২৪ একরসহ মোট ১২.৪৭৮ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে। প্রেসব্রিফিং এ আরও জনানো হয়, খুলনা জেলার মোট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৫হাজার পাঁচশত ২৯টি। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩৫১টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৯০৬টি জমির মালিকানাসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। চলমান চতুর্থ পর্যায়ে তৃতীয় ধাপে বরাদ্দপ্রাপ্ত মোট গৃহের সংখ্যা ১৮১৯টি। বর্তমানে কাজ চলমান ১০৬২টি গৃহে ভূমিহীন-গৃহহীন পুনর্বাসনের পর খুলনা জেলায় অবশিষ্ট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার থাকবে ৩৭৬টি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত ব্যারাকে তেরখাদা উপজেলায় ৩০টি, পাইকগাছায় ৭৩টি ও দাকোপ উপজেলায় ৫০টিসহ মোট ১৫৩টি এবং খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য কর্তৃক দাকোপ উপজেলায় দুইটি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। মতবিনিময় ও প্রেসব্রিফিং এ খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মুনিম লিংকন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) আতিকুল ইসলাম, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজাসহ প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। -তথ্য বিবরণী