খুলনা থেকে সিরাজুল ইসলাম \ খুলনা বিভাগের সকল জেলার গ্রামগঞ্জে কাঁঠাল চাষে কোন তৎপরতা নেই বললেই চলে। এই গ্রীষ্মে কাঁঠাল সংকটের কারনে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনার উত্তর অঞ্চলের জেলাগুলোতে নতুন করে কোন কাঁঠাল গাছ লাগাতে দেখা যাচ্ছে না। কয়েক বছর আগের লাগানো গাছে,যে কাঁঠাল ধরেছে তা দিয়ে দেশের কাঁঠালের চাহিদা পূরণ না হতে পারে। কাঁঠাল আমাদের জাতিয় ফল তা দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেলে জাতীয় পরিচয়ে বাধাগ্রস্ত হবে। পুষ্টি জাতীয় খাবার ও হারাবে, যশোর এলাকার কয়েকটি কাঁঠাল বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি বাগানে পুরাতন গাছ ছাড়া নতুন গাছ লাগানো নেই বললেই চলে। এবার কাঁঠালের ধর অন্য বছরের তুলনায় অনেক কম দেখা যাচ্ছে। বাঘারপাড়া উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকার সামাদ জানান, বাপ দাদারা কাঁঠাল বাগান লাগিয়েছে তাই ভোগ করছি, বছরে প্রায় ৬০’০০০,টাকার কাঁঠাল বিক্রয় করি আমি, কিন্তু অনেক গাছ মরে যাচ্ছে। এবার গাছও কম গাছে কাঁঠলের পরিমাণ ও কম। এ বিষয়ে কাঁঠাল চাষী খলিলুর রহমান জানান, কাঁঠাল চাষ আধুনিক পদ্ধতিতে করতে পারলে, গাছে ধরন বেশি পাওয়া যাবে, কাঁঠাল চাষে কোন চাষের প্রয়োজন হয় না। বিচ তলা থেকে চাড়া তুলে এনে ২০ফুট অন্তর গর্ত খুঁড়ে, জৈব সার প্রয়োগ করে লাগালে অল্প দিনেই গাছ বড় হবে। মাঝেমধ্যে গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে পানি যেন জমে না থাকে। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি যার ফলে চাষের পদ্ধতি আধুনিক আনয়নে বিশেষ প্রয়োজন যাতে ফল বেশি ধারণ করে । এ বিষয়ে কৃষি অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে কাঁঠাল চাষিরা ।