‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ^গঠন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে রবিবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ১৬তম বিশ^ অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের সমাজ ও পরিবারের অংশ। তাঁরা সমাজের বোঝা নয়, আমাদের শক্তি। অটিজম নিয়ে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এক সময় সচেতনতার অভাব থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠার ফলে তা এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ও সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছে। অটিজমসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং ও সেবার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলতে পারলে দেশের কল্যাণে তাঁরা এগিয়ে আসতে পারেন। প্রতিবন্ধীদের কোন অবস্থাতেই অবহেলা করার সুযোগ নেই। সবাইকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে হবে, কাউকে পেছনে ফেলে নয়। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী, সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির। অটিজম বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদ্বয় ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত একশত ১৬ জন রোগীর মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে ৫৮ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন। এছাড়া ১০ অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের মাঝে হুইল চেয়ারসহ সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়।-তথ্য বিবরণী