দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ ঔষধি ফল হিসেবে পিপের গুনাগুনের শেষ নেই। কাচা পিপে তরকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং মানবদেহের বহুবিধ উপকারে আসে, পিপে কেবল তরকারি হিসেবেই তার গুনের বিস্তৃত ঘটায় তা নয় পাকা পিপে অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং স্বাদে ও রসনা তৃপ্তের অবারিত সম্ভার কে জানান দিয়ে চলেছে। আমাদের দেশের বাস্তবতায় তাই পাকা পিপে চাহিদা অপরাপর ফল অপেক্ষা অনেক অনেক উচ্চতায়। গ্রামীন জনপদের অতি বাহারী পাকা পিপে এবার অসাধু চক্রের দ্বারা কুলষিত হচ্ছে। আর সেই স্বাস্থ্যকর পুষ্টিকর মানব দেহের অবারিত উপকারের পাকা পিপেতে মেশানো হচ্ছে মানব দেহের জন্য সমুহ ক্ষতিকর ফরমালিন। বিক্রয় বিপনন ও বাজার জাত করনে নিষিদ্ধ ফরমালিন পাকা আধা পাকা পিপেতে সংমিশ্রন করে সতেজ রাখার অনৈতিক প্রচেষ্টা করে চলেছে কোন কোন মানবতা বিরোধী ব্যবসায়ী এমনই এক ফরমালিন মিশ্রিত পিপের সাথে পরিচিত হলেন গ্রাম্য চিকিৎসক সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের হাসান ছিদ্দিকুর রহমান লাবু, দেশী ফলের এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে তিনি ছবির পাকা পিপে নিয়ে উপস্থিত হলেন বহুল প্রচারিত, পাঠক নন্দিত দৈনিক দৃষ্টিপাত ভবনে, গত ২৮ মার্চ তিনি পাকা পিপেটা ক্রয় করেছিলেন কদমতলা বাজার থেকে, বাড়ীতে নিয়ে পিপের অংশ বিশেষ স্পর্শ করে তিনি শক্ত অনুভব করলেন, ভাবলেন হয়ত পরিপূর্ণ খাওয়ার (পাকার) উপযোগী হতে অপেক্ষা করতে হবে, কিন্তু ফলাফল শুন্যের কোঠায় এমনি ভাবে সাতদিন অতিবাহিত হলো কিন্তু পিপের উপরি অংশ, বোটা সবই সতেজ চকচকে, এভাবেই মনোবেদনাকে সঙ্গী করে তিনি নিশ্চিত হলেন ফরমালিন। পিপেটির রং পাকা পিপে করনের ক্ষেত্রেও হয়ত ব্যবহার করা হয়েছে রাসায়নিক পদার্থ। সময় এসেছে বাজার ব্যবস্থায় বিশেষ করে ফল ও খাদ্য সামগ্রীর মান যাচাই করন এবং মানব দেহের ক্ষতি করার চেস্টায় নিয়োজিত অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহিৃত করন সহ আইনের আওতায় আনায়ন। পিপেটির সতেজ আর সৌন্দর্যময় অবয়ব আমদানী করা আপেলের অবস্থা হতেও ভয়াবহ। দেশের প্রচলিত আইনে দেশী ফলে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রন নিষিদ্ধ, আমদানী করা ফলে নিয়ম মাফিক পদার্থ মিশ্রন হলেও দেশী ফলে রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রন ঘটানো ফৌজদারী অপরাধ, এ দৃশ্য কেবল কদমতলা নয় সাতক্ষীরার বাজারে বাজারে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারন ফরমালিন বা অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রন ফল বিক্রির যে জন বিরোধী উৎসব চলছে তা প্রতিরোধ করা জরুরী, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা ট্রান্সফোর্ট কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন এমনই প্রত্যাশা জনসাধারনের।