ডুমুরিয়া প্রতিনিধি \ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা বিভিন্ন হাট বাজারে এখন শোভা পাচ্ছে তরমুজ, আপেল, আঙ্গুর, কমলা, বেদানা, কলা, পেয়ারা, খেজুরসহ আরো অনেক রকম ফলের। ওই সকল দেশি-বিদেশী ফলের মধ্যে বর্তমানে ডুমুরিয়ার বাজারে শোভা পাচ্ছে রসালো মিষ্টি তরমুজে। পুরো মৌসুম না পড়লেও বাজারে আগাম জায়গা করে নিয়েছে মৌসুমি ফল তরমুজ। গ্রীষ্মকাল চলছে, তিন দিন ধরে আবহাওয়ার কিছুটা রদবদল হলেও গ্রীষ্মকালের প্রখর রোদ্দুরের তাপদহ্য সামনে। তাই উত্তাপ্ত গরমের দেহের তৃষ্ণা মেটাতে তরমুজ কিনতে বেশ আগ্রহী ক্রেতারা। তবে ক্রেতা বলছেন-বাজারে মৌসুমের আগে তরমুজ ওঠার কারনে দাম অনেকটাই বেশি। বিপরীতে বিক্রেতারা বলছেন- এখনো গ্রীষ্ম মৌসুমের তরমুজ বাজারে পুরাদমে ওঠেনি। এলাকা চাষীরা আগাম বাজার ধরতে আগাম তরমুজের চাষাবাদ করেছিলেন, ওই সকল তরমুজই বাজারে আসছে। তবে স্থানীয় এলাকা শেখেরট্যাক, সাহস.রঘনাথপুর কুলবাড়িয়া, শিবনগর, মাগুরখালি, সহ অন্যান্য অঞ্চলের তরমুজ এখন হতে প্রায় মাস খানেক পরে বাজারে আসতে শুরু করবে। বাজারে বর্তমানে ভালো মানের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৪০-৫০ টাকা দরে। আবার মানভেদে কোনো কোনো তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫টাকায়ও। বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ডুমুরিয়ায় পাইকারী ফলের বাজারে বিগ ফ্যামিলি, বালি, সুইট, ব্লাকবেরী, বাংলা লিংক, গ্রামীন, আনারকলিসহ কয়েকটি জাতের তরমুজ আসছে। সিজিনের প্রথম বাজার ধরতে এলাকার চাষীরা এখন হতে দু’মাস আগেই তরমুজের চাষাবাদ করে। ওই চাষাবাদের আগাম তরমুজই এখন বাজারে দৃশ্যমান। তবে স্থানীয় এলাকার উৎপাদিত তরমুজ আর মাস খানের পরে বাজারে আসবে। বাজারে যতই সরবরাহ বাড়বে, ততই দাম কমে আসবে। ফল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রীষ্মকাল শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম তরমুজ বাজারে এসে গেছে। আমি বর্তমান স্থানীয় তরমুজ কিনি যখন এলাকার ফল কমে আসবে তখন খুলনা শহর হতে পাইকারী তরমুজ নিয়ে আসছি। কেজি প্রতি ৩০/৩৫টাকা দরে বিক্রি করছি। সিজিনের আগাম ফল হওয়াতে পাইকারী বাজারে তরমুজের দাম একটু বেশি, তবে স্থানীয় এলাকার গ্রীষ্মকালীন তরমুজ পুরোদমে বাজারে আসা শুরু করলে দাম হাতের নাগালে চলে আসবে। সিজিনের প্রথমে তরমুজ হাতের নাগালে থাকার কারনে তরমুজ কিনতে ক্রেতাদের মাঝে বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতা সাংবাদিক অরুন দেবনাথ জানান, বাচ্চারা কয়েকদিন ধরে তরমুজ খাবে খাবে বলে কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে। তবে তরমুজের যে দাম, ৫০টাকা কেজির নীচে নয়। একটি ভালো মান ও ভলো সাইজের তরমুজ কিনতে গেলে ৭/৮ কেজির নীচে হয় না। তবে আমি মনে করি যতই সিজিনের শুরুই হোক না কেন, দাম সর্ব্বোচ ২০/২৫টাকা প্রতি কেজিতে হওয়া উচিৎ ছিল। ভ্যাপসা গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ও শরীরে প্রশান্তি যোগাতে বাজারে আগাম তরমুজের বেশ কদর রয়েছে ক্রেতা সাধারনের। তবে এখন যে দামে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কয়েকদিন পরই স্থানীয় এলাকার তরমুজ বাজারে ঢুকলে দাম আপনা আপনি কমে যাবে বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী।