এফএনএস স্পোর্টস: অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে গত ২৮ মার্চ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম জয় পেয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এরপর সিটি ক্লাবের কাছে হেরে যায় তারা। এবার তারা টানা দুটি ম্যাচ জিতলো। ঢাকা লিওপার্ডসের পর শনিবার শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট তাদের। টেবিলের দশ থেকে আট নম্বরে উঠে গেছে ব্রাদার্স। শাইনপুকুরকে ৮ উইকেটে ২২৮ রানে থামায় ব্রাদার্স। তারপর আরাফাত সানি জুনিয়র ও সাদ নাসিমের দারুণ বোলিংয়ের পর তাদের শতাধিক রানের জুটিতে ৩৫ ওভার শেষে ৬ উইকেটে জিতে যায় তারা। ১২ রানে ২ উইকেট হারানো শাইনপুকুর তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের জুটির দেখা পায়। অমিত হাসান ও শুভম শর্মা ছিলেন কারিগর। শুভম সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন ১০২ বল খেলে। পরে আর বড় কোনো জুটি হয়নি। তবে অমিতের ৪২, সাজ্জাদুল হকের ৪১ ও মেহেদী হাসান রানার অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসে দুইশর বেশি রান তোলে শাইনপুকুর। ব্রাদার্সের পক্ষে মেহেদী রানা, সাদ ও আরাফাত দুটি করে উইকেট নেন। লক্ষ্যে নেমে ৩১ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও তানজিদ হাসান ও সাব্বির হোসেনের ৭৫ রানের জুটিতে শক্ত অবস্থান নেয় ব্রাদার্স। এরপর পরপর দুই ওভারে ২ রানরে মধ্যে তারা দুজনসহ তিন উইকেট পড়ে গেলে উত্তেজনা ফিরেছিল ম্যাচে। নাবিল সামাদ জোড়া আঘাত করেন। তানজিদ ৪৫ ও সাব্বির ৩৮ রান করেন। অধিনায়ক মিজানুর রহমান গোল্ডেন ডাক মারেন। ১০৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আরাফাত ও সাদের ১২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় পায় ব্রাদার্স। আরাফাত ৪৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৫৫ ও সাদ ৬০ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৩৫ ওভার শেষে তাদের স্কোর ৪ উইকেটে ২২৯ রান। ম্যাচসেরা হয়েছেন আরাফাত। নাবিলের সমান দুটি উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরের সেরা বোলার হাসান মুরাদ।