সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের ক্ষমতা কুক্ষিগতকারী বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বলসহ দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবীংেত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ সাতক্ষীরা শহর শিবিরের উদ্যোগে আন্ত:থানা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের কমিটি গঠন আশাশুনি সমাজ কল্যাণ পরিষদে অর্থে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও অনুদান বিতরণ নূরনগর আমীরের শপথ মজলিশে শূরা নির্বাচন ও কর্ম পরিষদ গঠন আশাশুনি টঙ্গী ইজতেমায় হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সাতক্ষীরা উলামা পরিষদের মানব বন্ধন সাতক্ষীরায় কৃষি ঋণ কমিটির সভা নেহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসুস্থ ছাত্রীর বড়ীতে \ উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থী পরিবার বটিয়াঘাটায় ইজতেমায় হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, কয়রায় ঈদ কেনাকাটায় ভাটা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি \ ঈদুল ফিতরের এখনও বাকি প্রায় ১৩ দিন। ইতোমধ্যে থ্রি-পিছ, শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবী, পায়জামা, ফতুয়াসহ ছেলেমেয়েদের তৈরি পোশাকের ঈদের কেনা-বেচা শুরু হয়েছে পাইকারি ও খুচরা মার্কেটগুলোতে। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি হওয়ায় বিক্রি তেমন আশানুরুপ নয় বলে দাবি বিক্রেতাদের। বড় বড় দোকানদারদের কিছুটা ভাল হলেও ছোট ছোট দোকানদারদের বিক্রি গত বছরের তুলনায় অর্ধেক। রবিবার উপজেলা সকিনা সুপার মার্কেট, বিমিল্লাহ মার্কেট ও মোমিন মার্কেট সহ সদরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। তারা জানিয়েছেন, পোশাকের পাইকারি বাজার গুলোতে রমজানের ১৫ দিন আগে থেকে মার্কেট ধরতে হয়। এর মধ্যে সিংহভাগ বিক্রি হয় প্রথম ৩০ দিন। তাই এসময় পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে দোকান সাজাতে থাকেন। কারণ প্রথম রোজা থেকেই খুচরা বাজারে সাধারণত ক্রেতারা ঈদের নতুন কালেকশান খুজতে থাকেন। তারা বলছেন গত বছর করোনার কিছুটা প্রভাব ছিল যা এবার একেবারেই নেই। তাই আশা ছিল এবার বিক্রি অনেক ভাল হবে । সেজন্য আগে ভাগেই তারা ঢাকা গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, সদরঘাট, ইসলামপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদি থেকে সকল মালামাল কিনেই দোকান সাজিয়েছেন। কিন্তু নিত্যপণ্যেও দাম বৃদ্ধির কারনে জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়েছে। একই সঙ্গে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারনে ফ্যাশন হাউজগুলোর উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে। যা পণ্যের দামের উপর পড়েছে। পোশাকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা কিছুটা ধীরে চলো নীতিতে এগুচ্ছেন। কয়রা বাজারের শসী বস্ত্রালয়ের সত্ত¡াধিকারি জুয়েল ইসলাম বলেন, শবে বরাতের পর ঢাকা থেকে পোশাক কিনে এনে দোকানে সাজিয়ে রেখেছি ঈদের আর মাত্র ১২, ১৩ দিন বাকী রোজার প্রথম থেকে এখনও চোখে পড়ার মত ভিড় নেই দোকানে। ক্রেতারা আসছে পোশাকের দাম একটু বেশি হওয়ায় আবার ফিরে যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্রেতারা। গত বছর যে ছিটের গজের দাম ছিল ৪৫ টাকা এবছর সেই ছিট গজ দাম বেড়ে ৬৫ টাকা। শাড়ীর দাম দেড়গুন বৃদ্ধি পেয়েছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাচ্ছে, এমনকি কেনা দামেও নিতে চাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, গত বছর করোনা থাকা সত্বেও প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা কেনাবেচা হয়েছে সেখানে এবার ১ লক্ষ টাকা কেনাবেচা করা কষ্টকর। আমি এবার প্রায় ১ কোটির টাকার উপরে মালামাল কিনেছি এরকম বেচাকেনা হলে সামনে কুরনানির ঈদে আর ঢাকা থেকে মাল কিনে আনা লাগবেনা। কয়রা বাজারের বড় ব্যবসায়ী খান বস্ত্রালয়ের সত্ত¡াধিকারি আজিজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সব পোশাকের দাম বেশি, আমাদেরও বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে । এই বেশি দাম শুনলে ক্রেতারা জামা কাপড় কিনতে চাচ্ছে না। মায়ের আচল বস্ত্রালয়ের সত্ত¡াধিকারী সাহেব আলী বলেন, এবছর করোনা নেই বলে মনে করেছিলাম এবার ঈদে বেচাকোনা একটু বেশি হবে তাই রমজানের আগেই ঢাকা বড় বড় মার্কেট থেকে বিশেষ করে থ্রি-পিচ, আনারকলি, শাহারা, গারারা, গাউন, ওয়ানপিচ সহ বিভিন্ন ধরনের ১৫ লক্ষ টাকার থ্রি-পিছ, ৬ লক্ষ টাকার শাড়ী এবং ১০ লক্ষ টাকার গার্মেন্টস সামগ্রী কিনেছি। বেচাকেনা খুব ভাল না তবে এখনও ১২ থেকে ১৩ দিন ঈদের বাকি আছে আশা করছি বাকি দিনগুলোতে ভাল কেনাবেচা হবে ইনশাআল্লাহ। ব্যবসায়ীরা বলেন, ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সব ধরনের কালেকশান রেখেছি। তবে দাম নিয়ে আপত্তির শেষ নেই ক্রেতাদের। বিশেষ করে নিম্ম ও মধ্য আয়ের মানুষেরা ঈদ বাজারে এসে দরকষাকষিতে হাঁফিয়ে উঠেছেন। বিক্রেতারা বলেছেন, পণ্যের গুনগতমান ও ডিজাইনের উপর দাম নির্ভর করছে। কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রতিবছর ঈদের কয়েকদিন আগে দোকানে অনেক ভিড় থাকে। এবার আগেভাগে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। ক্রেতারা জানান, সব পোশাকের দাম অনেকটা বেশি। ক্রেতা শিউলি বেগম জানান, ঈদ মানেই আনন্দ মানেই খুশি , ঈদে চাই নতুন জামা কাপড়। দাম একটু বেশি। তবে ভাল মানের নতুন ডিজাইনের পোশাক দেখে পছন্দ হয়েছে দাম বেশি হলেও কিনতে তো হবেই। তাছাড়া নাতির আবদার রাখতে তো হবেই। পছন্দ শেষ এখন দাম বনাবনি। ভ্যান চালক আনোয়ার তার দুই ছেলের জন্য প্যান্ট ও শার্ট কিনছিলেন। এ সময় তার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, গ্রামে এখন মেলা ভ্যান আগের মতো কামাই নাই। তারপরও যা কামাই তা দিয়া কোনো রকমে সংসার চলে। ঈদে ছাবাল দুইটার কাপড় কিনি দেব। দামের কারনে মনে হয় আজ কেনা হবার নায়। গতবার ১ হাজার ২০০ টাকাতে দুজনের কাপড় কিনচি। এবার তো দুই হাজার টাকাতে কেনা যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com