দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ সাতক্ষীরার চিংড়ী চাষের প্রধান উপকরন লবনাক্ত পানির অভাব হেতু বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের এই শিল্প উৎপাদন মারাত্মক ভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখিন, কুলিয়া খাল, পুুটিমারী খাল সহ কয়েকটি খাল খনন ও পুনঃ খননের কচ্ছপগতির কারনে শত শত চিংড়ী ঘের পানি শুন্যতায় অনাবাদী হয়ে খা খা করছে, ঘের ব্যবসায়ীরা বার বার তাগিদ দিলেও এবং চিংড়ী চাষ ব্যাহত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকর ভূমিকা গ্রহনে বাবরার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। চিংড়ী চাষি সহ ঘের ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্টরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দ্রুততার সাথে কালবিলম্ব না করে খনন কাজ ত্বরান্বীত করনের আহবান জানালেও কোন দেনদরবার কাজে আসছে না। গত কয়েক বছর যাবৎ রেনু পোনা সংকট সহ ভাইরাসের কারনে চিংড়ী উৎপাদন যথাযথ ভাবে কাঙ্খিত লক্ষে না পৌছায় এমনিতেই ঘের ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে, বর্তমান চিংড়ী মৌসুম অনেক আগেই শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে দুই চালান রেনু পোনা অবমুক্ত পরবর্তি তা বাজারজাত করনের সময় উত্তীর্ন হলেও খাল খনন এর দীর্ঘ সূত্রিতার কারনে চাষীরা ঘেরে পানি উত্তোলন করতে পারছে না এবং রেনু পোনা অবমুক্ত করতে পারছে না। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অনন্য মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত চিংড়ী শিল্প কেবলমাত্র সাতক্ষীরার অর্থনীতিতে সুবাতাস বহন করে তা নয় জাতীয় অর্থনীতিতে কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলেছে। খেপু নিয়ে জানাগেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড অনেক আগেই ওয়ার্ক অর্ডার দিলেও তদারকি ও দায়িত্বশীলতার অভাবে খনন কাজ যথাসময়ে হচ্ছে না। শত শত চিংড়ী ঘের উৎপাদন বিহীন অর্থনীতিতে যে বিরুপ প্রভাব পড়তে চলেছে এ দায় কে নেবে এমন বক্তব্য ঘের ব্যবসায়ীদের, ঘের ব্যবসায়ীরা কি করবে, কিভাবে সংকট কাটিয়ে উঠবে, কোন সময়ের মধ্যে লবনাক্ত পানি পাবে এমন প্রশ্নের কোন সমাধান পাচ্ছে না, ইতিমধ্যে এক শ্রেনির লোকজন পানি আনতে ঘের ব্যবসায়ীদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ভুক্তভোগী, নিরুপায় ঘের ব্যবসায়ীরা অনেকে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা তদবিরের পাশাপাশি আর্থিক খরচ ও করছে। সদর উপজেলা, আশাশুনি ও দেবহাটার কয়েকশত ছোট বড় চিংড়ী ঘেরই সাতক্ষীরার চিংড়ী উৎপাদনের মোখ্যম আঞ্চল দেশের সিংহভাগ চিংড়ী উৎপাদন হয় সাতক্ষীরায় আর এই তিন উপজেলায় সাতক্ষীরার চিংড়ী উৎপাদনের সোনালী ক্ষেত্র। খাল খনন পুনঃ খননের চিত্র কতটুকু নিয়ম মাফিক হচ্ছে সে প্রশ্ন হলুদাভাব হয়ে গেছে। প্রয়োজন দ্রুত খনন। খালের দুই পার্শ্বের চিত্র বেমানান এর পাশাপাশি যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও বির্বন করেছে। মাটির স্তুপ এমন ভাবে অসমতল ও বিশৃঙ্খল ভাবে ফেলানো হয়েছে যে ঘর বাড়ী থেকেও লোকজন স্বাভাবিক ভাবে বের হতে পারছে না। খননের ধারাবাহিকতাও যথাযথ নয়, একেক স্থানে একেক ভাবে খনন চলছে। কৃত্রিম ভাবে সেচের মাধ্যমে যে সকল ঘেরে পানি উত্তোলন পরবর্তি পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে গ্রীস্মের তাপদাহে সে সকল ঘেরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরার ঘের ব্যবসায়ীরা এমন দুঃসময় কখনও অতিক্রম করেনি, ভাইরাসের মুখোমুখি হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিন্তু বর্তমানের চিত্র শুধু প্রান্তর ঘেরের মাটিতে খেলা করছে দুরন্ত কিশোররা আর হৃদয়ে রক্তক্ষরন ঘটছে চিংড়ী চাষীদের।