স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ রহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কর্মী ছাটাই অভিযোগ এনে গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোর জেলার মনিরামপুর লাউড়ি গ্রামের কেএমজি মোস্তফা পুত্র মেহেদী হাসান। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: রুহুল কুদ্দুস মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে করোনা মহামারীর সময়ে আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রাপ্ত ২২ জন জনবলের মধ্যে নিরাপরাধ ৬ জন কর্মীকে কোন কারন ছাড়াই চাকুরী থেকে ছাটাই করেছেন। অথচ স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মলিকা খাতুন স্বাক্ষরিত গত ৪ আগস্ট উক্ত ২২ জন জনবল বহাল রেখে নতুন ১১ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি সেই আদেশ অমান্য করে কলেজের প্রফেসর ডা: কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন। বোর্ডের সদস্যরা ডা: শংকর প্রসাদ বিশ্বাস ও ডা: কামরুজ্জামান তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ দিয়েছেন। সেটি সম্পূর্ণ অন্যায়। ২২ জন সেবাকর্মীর সেবা অর্থ বিভাগ কর্তৃক পূর্বের ধারাবাহিকতায় ০১ (এক) বছর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যয় ব্যস্থাপনা শাখা-৬ অর্থ বিভাগের স্মারক নং ৪০৮ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ পারসোনেল-১ বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকার স্মারক নং ৫৯০০০০০১০৯৫১০০১২০৩৫০। তিনি আরো বলেন, ২০২০ সাল যখন করোনা মহামারীতে সারা পৃথিবী অসহায় হয়ে পড়েছিলো। করোনা নিষ্ঠুরতা বাবা তার সন্তানকে এবং সন্তান তার বাবাকে স্পর্শ করেনি। এমনকি মৃত্যুর পরেও তার দাফন কিংবা জানাজাতেও অংশগ্রহন করেনি। ঠিক তখনই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে নিয়োগ প্রাপ্ত ২২ জন সেবাকর্মী লকডাউনের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলো। অথচ গত ২৯ জানুয়ারী ২২ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের নোটিশ বোর্ডের ডা: রুহুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত চুড়ান্ত তালিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি উক্ত ২২ জন সেবাকর্মী থেকে নূরজাহানসহ ৬জন কর্মীকে বিনা অপরাধে বাদ দেওয়া হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে এই ৬ জন কর্মী তাদের ন্যায্য বেতন থেকে ৪১৩০ টাকা অন্যায়ভাবে কর্তন করতো ঠিকাদার আব্দুর রশিদ। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই তাদেরকে চাকুরী থেকে বাদ দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজটি আমাদের প্রাণের স্পন্দন। এটি আমাদের সাতক্ষীরাবাসীর সম্পদ কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি আমাদের এই প্রিয় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ডাঃ রুহুল কুদ্দুস সহ দুর্নীতিবাজদের জন্য কলেজটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কেননা নিয়োগের ক্ষেত্রে ডা: রুহুল কুদ্দুস চরম স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি গত ২৬ জানুয়ারী ২২ একটি নিয়োগে স্বাক্ষর করেছেন ঠিক তার ৩ দিন পরে ২৯ জানুয়ারি ২২ উক্ত নিয়োগ বাতিল করে আরেকটি নিয়োগে স্বাক্ষর করেন। অধ্যক্ষ ২য় বার যে নিয়োগটি দিয়েছেন সেটি সম্পন্ন করতে গিয়ে ঠিকাদার আব্দুর রশিদের নিকট থেকে পূবালী ব্যাংক খালিশপুর শাখা একাউন্ট নং ০০০ ০০০ ০০০০১০৬ থেকে তিনটি চেকের মাধ্যমে মোট ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছেন। যার একটি চেকের নং- ঙঝঅ-৩০১৯৯৯৩ চেক। যে ৬টি পরিবার চাকুরী হারিয়েছে আজকে তারা পথে পথে ঘুরছে তারা অবৈধ নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদেরকে চাকুরীতে পুর্নবহাল ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধান মন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে ছাটাইকৃত স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।