যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে শুক্রবার খুলনায় বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপিত হয়। খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে সকালে রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য, স¤প্রীতির দিন ও সর্বজনীন উৎসব। বাঙালির লোকসংস্কৃতির সাথে বাংলা নববর্ষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতি শেঁকড়ের সন্ধান খুঁজে পেতে প্রতিবছর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অতীতের সব গøানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ মানুষের সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য আরও সুদৃঢ় করবে এবং দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। পরে মেয়র খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে খুলনা জেলার নবম ও দশম শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার তিনশত ৯০ শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি করে ট্যাব বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল বিথার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণ অংশ নেন। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে জেলখানা ও সরকারি শিশু পরিবার কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং জেলা কয়েদিদের বিভিন্ন দ্রব্যাদি প্রদর্শন করা হয়। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, বর্ষবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলাসমূহ অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে।-তথ্য বিরবণী