এফএনএস স্পোর্টস: দরকার ১ উইকেট। বেসরিক বৃষ্টি এমন বাগড়া দিলো যে, হতাশায় ছেয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকার ড্রেসিং রুম। বিপরীতে আশার রেণু উড়তে থাকে নিউজিল্যান্ড ক্যাম্পে। তবে শেষরক্ষা হয়নি কিউইদের, বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে জয়ের আনন্দে মেতেছে প্রোটিয়ারা। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ১৯৮ রানের বড় ব্যবধানে জিতে অপেক্ষায় রাখলো স্বাগতিকদের। এবারও নিউজিল্যান্ড পারলো না প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিততে। গতকাল মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের পঞ্চম দিনে আশা-নিরাশার দোলাচলে ছিল দুই দল। বৃষ্টিতে খেলার মোড় অন্যদিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও জয়ের হাসি হেসেছে সফরকারীরাই। দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের ২২৭ রানে অলআউট করে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়টা অধরাই রয়ে গেলো কিউইদের। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৪ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছিল ২৯৩ রানে। এরপর ডিন এলগাররা ৯ উইকেটে ৩৫৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করলে স্বাগতিকরা পায় ৪২৬ রানের কঠিন লক্ষ্য। চতুর্থ দিনে স্বাগতিকরা ৯৪ রান তুলতে ৪ উইকেট হারালে জয়ের পালা হেলে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। শেষ দিনে ডেভন কনওয় ও টম ব্লান্ডেল দৃঢ়তা ও বৃষ্টির বাগড়ায় কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি তাদের। ৬০ রানে কনওয়ে ও ১ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন ব্লান্ডেল। চমৎকার ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়া বোলারদের সুযোগই দিচ্ছিলেন না তারা। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থাকতে কনওয়ে বিদায় নিলে ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। বাঁহাতি ব্যাটার ১৮৮ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে খেলেছেন ৯২ রানের ইনিংস। সঙ্গীকে হারিয়ে ব্লান্ডেলও টিকতে পারেননি। ১০৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৪৪ রান। তাকে ফেরানো মার্কো ইয়ানসেনের তোপে এক এক করে ফিরে যান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (১৮) ও কাইল জেমিসন (১২)। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে ম্যাট হেনরি বিদায় নিলে জয়ের আনন্দে মাতে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া কাগিসো রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসেও সফল। ৪৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। তার মতো ৩টি করে উইকেট আছে ইয়ানসেন ও কেশব মহারাজের।