সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে পরীক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করায় ৩ বখাটের কারাদণ্ড কলারোয়ায় সার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে পৌর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ দেবহাটা ছাত্রদলের আহবায়ক ফহরাদকে অব্যাহতি কালিগঞ্জে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে পড়ে এক সন্তানের জননীর মৃত্যু ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ শিক্ষক কালিপদ রায় সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করল এয়ার ইন্ডিয়া টানা ১৫ ঘণ্টা সংবাদ সম্মেলন করে মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের বিশ্বরেকর্ড পুতিনের আমন্ত্রণে রাশিয়া যাচ্ছেন শি জিনপিং ভারতের সেনা—বিমানবাহিনীর তথ্য পাকিস্তানে পাচার, গ্রেফতার ২

সুনির্দিষ্ট জীবনপদ্ধতিতে অবসাদ কমবে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: প্রতিবছর এপ্রিল মাসটি অবসাদ প্রতিরোধে সচেতনতাবিষয়ক মাস হিসেবে পালিত হয়। আধুনিক জীবনে এই এক ক্ষতিকর অনুষঙ্গ স্ট্রেস, হতাশা বা অবসাদ। জীবনে অতিমাত্রায় স্ট্রেস থাকলে তা ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ার বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। ফিজিক্যাল কিংবা ইমোশনাল যেকোন ধরনের স্ট্রেস মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। শারীরিক অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখের কারণ হয় স্ট্রেস। যেমন: হার্টের সমস্যা, মাথাব্যথা, আলসার, চেহারায় বয়সের ছাপ, উচ্চ রক্তচাপ, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
কিছু সুনির্দিষ্ট জীবনপদ্ধতি মেনে চললে অবসাদ মোকাবিলা সহজ হয়। আসুন জেনে নেই অবসাদ মোকাবিলার কিছু প্রচলিত পদ্ধতির কথা।
১. সকালে অবশ্যই নাস্তা করবেন। কাজের তাড়া থাকলেও নাস্তা বাদ দেবেন না। নাস্তায় ভারি খাবার খাবেন। কারণ সারাদিনের কাজে শক্তি যোগায় সকালের নাস্তা। ক্লান্তিও দূর করে।
২. চা, কফি যতটা সম্ভব কম খাবেন। এতে স্ট্রেস কম থাকবে। কফির বদলে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ভাল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি সারাদিন ক্লান্তিহীন থাকতে সাহায্য করে। রাতের খাবারের পর চা কিংবা কফি খাবেন না। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৩. অনেকের দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমানোর অভ্যাস আছে। দুপুরে ঘুমালে রাতের ঘুমে সমস্যা হতে পারে। তাই দুপুরবেলার ক্লান্তি কাটানোর জন্য ৩০ মিনিট চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন। যারা অফিস করেন তারা দুপুরে খাবারের জন্য রেঁস্তোরায় না গিয়ে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যেতে পারেন। বাড়ির খাবার স্বাস্থ্যসম্মত বলে মানসিক সুস্থতাও বজায় থাকবে।
৪. বাইরে গেলে পানির বোতল, খেজুর, ফল, হালকা স্ন্যাক্স সাথে রাখুন। অনেকসময় দোকানের কেনা খাবার খেলে অস্বস্তি লাগতে পারে। ফলে স্ট্রেস বেড়ে যায়।
৫. ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার সেরে ফেলুন।
৬. প্রতিদিন সকালে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে শরীর থেকে এন্ডোফিন বের হয়, যা স্ট্রেস কমায় এবং পজিটিভ চিন্তা ভাবনা জাগিয়ে তোলে।
৭. পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পানি খেলে দেহে অক্সিজেন সরবরাহ বজায় থাকে। শরীর থেকে ক্যামিকেল ও টক্সিন বের হয়ে যায়।
৮. ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং স্ট্রেস কমে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com