কিন্তু পেছনের অংশ দেখলে তেমন কিছু মনে হয় না। এদের মাথা প্রকান্ড ও গোলাকার, চক্ষু দ্বয় বড় ও উজ্জ্বল। ইহাদের রোষ কষাইতে চক্ষুর তীব্র দৃষ্টি দেখলে ও ভীষণ গর্জন শুনওেল মানুষ আতঙ্কে চমকে ওঠে। বাঘের মানুষ স্বীকার ও বিড়ালের ঈদুর শিকারের মধ্যে সাদৃশ্য আছে। হুলো বিড়াল বিড়ালীর বাঁচাকে খেয়ে ফেলে, হুলো বাঘও বাঘিনীর বাচ্চাকে খেয়ে ফেলে। বিড়াল শিকার ধরার সময় প্রথমে ঈদুরের ঘাড়ে ধরে। বাঘও প্রথমে মানুষের ঘাড়ে ধরবেই। বাঘ ও বিড়াল লাফ দিয়ে শিকার ধরে এবং শিকারের পূর্বে দেহকে সংকুচিত করে খুব ছোট আকার ধারণ করে এবং শিকার ধরার সময় বেশ মোটা হয়। বিড়ালের ৪/৫ টা বাচ্চা হয়, বাঘেরও ঐ রুপ ৪/৫টা বাচ্চা হয়। উভয়ের নখর গুলি খুব তী² ও ধারাল। চলার সময় নখর গুলি পায়ের মাংশল অংশের মধ্যে এমন ভাবে গুটিয়ে রাখে যে হাটতে গেলে কোন শব্দ হয় না। কিন্তু উভয় প্রাণীই শিকার ধরতে গেলে আগে মানুষ বা ইদুরের ঘাড়ে থাবা মেরে নখ বসাবে তার পর কামড় মারবে। তবে এরা শিকার ধরার সঙ্গে সঙ্গে খায় না। প্রথমে শিকারের ক্লান্তি জনিত বিশ্রাম নেয়, তারপর বিশ্রামান্তে খাওয়া শুরু করে। এই সমস্ত সাদৃশ্যের জন্য বিড়ালকে বাঘের মাসী বলা হয়। জঙ্গলের কর্মীরা (বাওয়ালী মৌয়ালী) ভয়ে বাঘের নাম ধরে না। তারা জঙ্গলে উঠে বাঘকে মামা বলে ডাকে। জঙ্গলের বড় মামা এমনই নির্দয় যে বাগে পেলে বড় মামার হাত থেকে ভাগ্নেরা রেহাই পায় না। বাঘ চিরকালই রক্ত পিপাসু। কর্মরত একদল মানুষের মধ্যে বাঘ যে মানুষটিকে শিকার হিসাবে লক্ষ্য করবে, তাকে ছাড়া আর কাহাকেও আক্রমন করবে না।