এফএনএস বিদেশ : ইউক্রেনের স্থানীয় একটি জাদুঘরে রাশিয়ান হামলার নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের ইতিহাস ও সংস্কৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। সংবাদ সংস্থা রায়টার্স গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। ইউক্রেনের একটি জাদুঘরে গত মঙ্গলবার বর্বরোচিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার পর জেলেনস্কি এ প্রতিক্রিয়া জানান। জেলেনস্কি উত্তর-পূর্বে ফ্রন্টলাইনের কাছাকাছি শহর কুপিয়ানস্কের একটি স্থানীয় জাদুঘরে রুশ হামলার কথা জানিয়েছেন এবং তার সান্ধ্যকালীন ভিডিও ভাষণে হতাহতের এই আপডেট দিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া এই হামলায় দুই নারীকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছে ১০ জন। তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’ এর আগে, তিনি একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া ‘একেবারে বর্বর পদ্ধতিতে ইউক্রেনীয়দের হত্যা করার’ এবং ‘আমাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করার জন্য সবকিছু করছে। আমাদের ইতিহাস, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের জনগণ’ সবকিছুই ধ্বংস করতে চায়। জেলেনস্কি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যাতে দেখা গেছে সামরিক ইউনিফর্মের লোকদের একটি আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এবং ভবনটির জানালাও ভেঙে গেছে। ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া মোট ৬০টিরও বেশি জাদুঘর ও গ্যালারি ধ্বংস করেছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘটনার সময় ফোনটি চার্জে ছিল না। মনে করা হচ্ছে ফোনটি হঠাৎ অতিরিক্ত গরম হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। শিশুটির মৃত্যুর পর ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি তদন্ত করে। প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য স্থানীয় পুলিশের কাছে জমা দেয়া হয়েছে এবং বাকি প্রমাণ তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আদিত্যশ্রীর ডান হাতের আঙুল এবং তালুতে ব্যাপক ক্ষত দেখা গেছে। ঘটনার পরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কেরালার মন্ত্রী কে রাধাকৃষ্ণন জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি কঠোরভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মেয়েটির বাবা অশোক কুমার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি তার মেয়ে ও দাদির সঙ্গে বাড়িতে ছিলেন। মেয়েটি কম্বলের ভেতর শুয়ে মোবাইলে গেম খেলছিল। দাদি রান্নাঘরে খাবার আনতে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি একটি বিকট শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের কাছে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। শিশুটির এমন আকস্মিক মৃত্যুতে সবাই হতবাক ও ক্ষুব্ধ। উল্লেখ্য, স্মার্টফোনে আগুন লাগা বা বিস্ফোরণের ঘটনা মূলত ফোনের ওপর অতিরিক্ত চাপের কারণে বা ব্যাটারি গরম হওয়ার কারণে ঘটে। আসলে আকারে পাতলা ও হালকা স্মার্টফোন তৈরি করতে কোম্পানিগুলো ব্যাটারিকে নূন্যতম স্পেসে ফিট করে এবং ক্রমাগত ব্যবহার বা চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে এই ব্যাটারি গরম হতে শুরু করে। এরপর বিস্ফোরিত হয়।