কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কয়দিন ধরে থেমে থেমে বর্ষণ শুরু হয়েছে। আর সেই বৃষ্টির পানিতে ভাসছে মাঠে কেটে রাখা কৃষকের সোনালি স্বপ্ন বোরো ধান। ধার দেনা করে চাষ করা ধান ঘরে তুলে বছরের খোরাকি আর ঋণ শোধের যে স্বপ্ন এত দিন কৃষকেরা দেখছিলেন হঠাৎ বৃষ্টিতে তা ফিকে হয়ে গেছে। ভিজে যাওয়া ধান শুকিয়ে কবে ঘরে তুলতে পারবেন নাকি জমিতে ভিজে ধানে চারা গজিয়ে যাবে তা নিয়ে এখন চিন্তিত কৃষক। রবিবার সরেজমিনে উপজেলার দেয়াড়া, ছলিমপুর, পিছলাপুর, তরুলিয়া, পাকুড়িয়া, ক্ষেত্রপাড়া, খোরদোসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাঠের পর মাঠ পাকা ধান কেটে ও আঁটি বেঁধে ফেলে রেখেছেন চাষিরা। অনেকে আবার গাড়ি ভরে বাড়ি নেওয়ার জন্য খেতে ধান গাদা দিয়ে রেখেছেন। গত শনিবারের বৃষ্টিতে সব ধান ভিজে গেছে। খেতে জমা পানিতে এখন ভাসছে সব ধান। এদিকে রবিবারের বৃষ্টিতে থেমে গেছে সাধারণ কর্মজীবন। বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ার কারনে উপজেলার বিভিন্ন আম চাষীদের আম গাছের ডাল ভেঙে বেশ ক্ষতি হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। কৃষকেরা বলছেন, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ৩৩ শতকের বিঘাতে ২৫-৩০ মণ করে ফলন পাচ্ছে কৃষক। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে ধান গোলায় তুলতে পারলে কৃষক বেশ লাভবান হতেন। দেয়াড়া গ্রামের চাষি লালটু বলেন, ‘মাঠে সাড়ে তিন বিঘা জমির ধান কাটা রয়েছে। সকাল থেকে আকাশ মেঘলা দেখে তাড়াতাড়ি মাঠে যেয়ে কিছু ধান বাঁধতে পেরেছি। এখন সব ধান পানির নিচে।’ একই গ্রামের আ: রব বলেন, ‘দেড়বিঘা জমিতে ধান পেকে আছে। সকালে যেয়ে কাটা শুরু করার কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে।পাকুড়িয়া গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বিচালি নষ্ট হয়ে গো খাদ্যের চরম অভাব দেখা দেবে। বিচালির দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।’ এভাবে যদি বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে পাকা ধান ঘরে তোলা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।