এই গাছালিরাই ভাগ্যক্রমে বাঘে হরিণ তাড়ানোর দৃশ্য দেখতে পায়। মানুষ বন্দুক দিয়ে তো হরিণ শিকার করেই, এছাড়া ছিটেকলে জ্যান্ত হরিণ ধরা যায়। হরিণ শিকারের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হ’ল কুকুর দিয়ে হরিণ শিকার। হরিণ কুকুরের খুব ভয় পায় এবং কুকুর দেখলে তারা কাঁপতে কাঁপতে সেখানেই পড়ে যায়। তাদের শরীর আড়ষ্ট হয়ে আসে। আর উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকে না। তখন কুকুরের মালিক ও অন্যান্য লোকজন হরিণের ৪ পা বেধে নিয়ে আসে। দুই একজনকে এভাবে শিক্ষা প্রাপ্ত পোষা কুকুর দ্বারা হরিণ শিকারের কাহিনী শোনা গেছে এবং সচক্ষে তেমন লোক ও তেমন কুকুরও দেখা গেছে। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার সুন্দরবনের নিকটবর্তী নবাবদী ফকির এ ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। কিন্তু সেই লোকটি ও সেই কুকুরটি আর বেঁচে নেই। তেমন কুকুর এবং তেমন লোক আর আছে কিনা জানা নেই। তবে এমন ঘটনা অবিশ্বাস্য নয়। হরিণ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী নোনা পানি খেয়েই বেঁচে থাকে। হিন্দু শাস্ত্রে ৯ প্রকার হরিণের (মৃগের) কথা উলেখ আছে। শম্বর রহিত রামো নাঙ্ক রঙ্ক শম রুরু। এনশ্চ হরিণশ্চ ইতি মৃগ নব বিধা মতা (কালিকা পুরান) তন্মধ্যে হরিণ জাতীয় মৃগই সুন্দরবনে দেখা যায়। তারা আবার ২ শ্রেণীর। ডোরা বা চিত্রল হরিণ ও কুকুরে হরিণ। ঝঢ়ড়ঃঃবফ ফববৎ ধহফ ইধৎশরহম ফববৎ, কুকুরে হরিণের গায় কোন ডোরা নেই। গায়ের রং লাল ছাগলের মতই দেখতে। মৃগ মাংশ সর্বদেশে সর্বকালে সর্বজনের প্রিয়। এই মাংশ যত বেশী খাওয়া হোক না কেন শরীরের কোন ক্ষতি করে না। বরং হরিণের মাংশে পেটের পীড়া সেরে যায়। হরিণের মাংসকে রাজ মাংশ বলা হয়। আদিকালে মুনি ঋষিরাও এ মাংশ খেতেন। এ মাংশে চর্বি খুব কম।