হরিণ লোক দেখলে, যে কোন প্রাণীর পায়ের শব্দ পেলে এমন কি গাছ পালা পত্র পতনশীল শব্দে ছুটে পালায়। ক্রেতা যুগে রামচন্দ্রের পিতা অযোদ্ধ্যার রাজা দশরথ দ্বাপরে শান্ত্বন রাজা প্রভৃতি রাজন্যবর্গ স্বয়ং হরিণ শিকার করেছেন। পৃথিবীতে এক সময় ৪০ প্রকার হরিণ ছিল। এখন অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে। ভারতে ৬ প্রকার হরিণ আছে। লগুন, সম্বর, বার শিঙা প্রভৃতি হরিণ আছে বাংলার বিভিন্ন অরন্যে। এক সময় দার্জিলিং পাহাড়ে হরিণ ছিল। কস্তুরী হরিণ শৃঙ্গ বিহীন। সুন্দরবনে প্রধানত চিত্রল হরিণ দেখা গেলেও এক সময় কাকর হরিণ ছিল। ভারত ও সিংহল ছাড়া এই হরিণ অন্য কোন দেশে দেখা যায় না। কাকর হরিণ এখনও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়। (কমল চৌধুরী ২৪ পঃ ইতিঃ) এক বছর বয়স থেকে হরিণের শিং গজানো শুরু হয়। এবং গাছপালার পাতা ঝরার ন্যায় এক সময় প্রাকৃতিক নিয়মেই এই শিং খসে পড়ে ও নতুন শিং গজায়। হরিণ বছরে দুবার বাচ্চা দেয় এদের মিলন সময় প্রধানত শীতকাল, বর্ষার শুরুতে এক বা দুটি বাচ্চা প্রসব করে। বসন্ত কালে পুনর্মিলন শুরু হয়। ইংরেজী মাসের (ঘড়াবসনবৎ ্ অঢ়ৎরষ) নভেম্বর ও এপ্রিল এ দুটি সময়ই হরিণের মিলন কাল। সাধারণত গৃহ পালিত প্রাণী ১টি গাভীর পিছনে ৪/৫টি ষাঢ় ছোটে কিন্তু হরিণের নিয়ম তার বিপরীত। এই বন্য প্রাণী ১টি শিংয়েল বা হরিণের পিছে অনেক গুলি হরিণী ছোটে এবং ১টি পুরুষ হরিণ-ই ঐ সব পিছু লাগা ৪/৫টি হরিণীর সাথে মিলনে সামর্থবান হয়। হরিণের মিলনকাল ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। তারপর তাদের আর মিলন কামনা থাকে না। মিলনের ৩ মাস পরে বাচ্চা প্রসব করে। তাদের গর্ভ ধারন সময় মাত্র ৩ মাস।